শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। তারপরেই ওই ঘটনা ঘটে। পরে দু’জনের আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই ওই দম্পতির গায়ের আগুন নিভিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে দু’জনকেই গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতেই গৌরী রাজবংশীর মৃত্যু হয়। এদিকে স্বামী নিত্য রাজবংশীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির একটি আট বছরের মেয়ে রয়েছে। ঘটনার সময় মেয়েটিও সেই ঘরে ছিল। সেও অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আপাতত তার চিকিৎসা চলছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সেই নাবালিকার অবস্থা স্থিতিশীল। গঙ্গারামপুর থানার পুলিস মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই দম্পতির এমন মৃত্যুতে হালদার পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু বলেন, ওই এলাকায় এক দম্পতি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও দু’জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুনেছি এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। পুলিস সব খতিয়ে দেখছে। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
মৃতের ভাই শীতল রাজবংশী বলেন, আমার দাদা পেশায় রিক্সাচালক। লকডাউনের পর থেকে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। সংসারে অভাব লেগেই ছিল। বৌদি শ্রমিককের কাজ করতে ভিন রাজ্যে যাওয়ার কথা বলেছিল। তাতে দাদা রাজি হয়নি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। দাদা জানিয়েছিল যে, এখন নয়, সে সুস্থ হয়ে উঠলে দু’জনে একসঙ্গে বাইরে কাজ করতে যাবে। কিন্তু বৌদি তাতে রাজি হচ্ছিল না। এর পরে আর কী কী কথা হয়েছে জানি না। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ওদের চিৎকার শুনে দাদার বাড়িতে গিয়ে দেখি, দু’জনেই দাউদাউ করে জ্বলছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানো হয়। ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানায় জানিয়েছি। মনে হয়, দাদা আগে গায়ে আগুন দিয়েছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বা যেভাবেই হোক বৌদির গায়েও আগুন লেগে যায়। কী এমন ঘটল যে হঠাৎ করে ওরা গায়ে আগুন দিল, বুঝতে পারছি না।
প্রতিবেশী অনন্ত রাজবংশী বলেন, আমরা দম্পতিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখে আঁতকে উঠি। তাঁদের চিৎকার এখনও কানে বাজছে। পুজোর আগে এভাবে তাঁদের অকালমৃত্যুতে আমরা শোকাহত।