কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
উপ-পুন পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকার প্রায় পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেইমতো কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিয়মিত এই গাছের বীজ সংগ্রহ করে এনে তা থেকে নার্সারিতে চারা তৈরির কাজ চলছে। তবে অন্যান্য নার্সারির সঙ্গে এই নার্সারির যথেষ্ট পার্থক্য আছে। কারণ ম্যানগ্রোভের নার্সারি এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে, যেখানে নদীর নোনা জলে জোয়ার ভাটা খেলতে পারে। সেই মতো গোসাবার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, ক্যানিংয়ের মাতলা ১, নিকারীঘাটা এবং বাসন্তী পঞ্চায়েতে তৈরি করা হয়েছে এই ম্যানগ্রোভের নার্সারি। সেখানেই কাজ করছেন বেশিরভাগ মহিলা। হিসেব বলছে, একেকটি ব্লকে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন হাজার মহিলা কাজ করছেন। কলকাতায় গিয়ে যে রোজগার করতেন, ততটা না হলেও, সংসার চালাতে আপাতত এই ১০০ দিনের কাজই তাঁদের একমাত্র ভরসা। নার্সারিতে কাজ করা এক মহিলা বললেন, আগে আমরা কলকাতায় বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করতাম। এখন আর কাজে যেতে পারছি না। করোনার জন্য কাজের লোকও নিচ্ছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ম্যানগ্রোভের বীজ কুড়িয়ে তা টবে ভরে চারা তৈরি করছি। তাতে কিছু আয় হচ্ছে। আরেক মহিলার কথায়, কাজ হারিয়ে একদম বসে গিয়েছিলাম। ম্যানগ্রোভের কাজ করে অন্তত দু’মুঠো ভাত জুটছে। এই বিষয়ে মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরেন ঘড়ুইয়ের বক্তব্য, ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি এবং সেগুলি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বসিয়ে মহিলাদের মধ্যে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফাইল চিত্র