কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এই নিয়ে বুধবার পুরভবনে প্রতিটি বরো কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন পুর-স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ। পুর -কমিশনার বিনোদ কুমার ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই হপ্তা দুয়েক হল শহরে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই টেস্টে আধঘণ্টার মধ্যেই রেজাল্ট মিলছে। অন্যদিকে, নটি অ্যাম্বুলেন্স শহরজুড়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সোয়াব টেস্ট চালাচ্ছে । পুরসভার তথ্য বলছে, গত কয়েক মাসে সব মিলিয়ে মাত্র ৩৫ হাজার টেস্ট সম্ভব হয়েছে। যা শহরে জনসংখ্যার তুলনায় নস্যি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিদান, টেস্ট বেশি পরিমাণে করানো। সংক্রমণকে বাগে আনার এটাই অন্যতম পথ। সেক্ষেত্রে বর্তমানে পুরসভার হাতে থাকা পরিকাঠামো যথেষ্ট নয়। তাই আগামী দিনে প্রতিটি বরো অঞ্চলে নিয়ম করে সপ্তাহে ছ’দিন তিন থেকে চারটি সেন্টারে নিয়মিত অ্যান্টিজেন টেস্ট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে বরো কো-অর্ডিনেটরদের থেকে সেন্টারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। মূলত অঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি হলগুলিকেই টেস্টের জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে। যেসব কমিউনিটি হল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, সেখানে দ্রুত টেস্ট চালু করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে সেই ব্যবস্থা নেই, সেগুলিকে পরিকাঠামোগত ভাবে প্রস্তুত করছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই, নটি মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে সোয়াব টেস্টের সংখ্যা প্রায় ১০০০-১২০০। অন্যদিকে, একেকটি সেন্টারে প্রতিদিন ৫০-৬০টি করে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, সেক্ষেত্রে এক একটি ওয়ার্ডে মাসে দু থেকে তিন বারের বেশি টেস্টের আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একটা বড় সংখ্যক মানুষ করোনা পরীক্ষার আওতায় বাইরে রয়েছে। তাই এই দৈনিক টেস্টের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়াতে চাইছে পুরসভা। চলছে পরিকাঠামোভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কাজ।
এই প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ বলেন, ইতিমধ্যেই ১৬টি বরোতে একাধিক সেন্টার চালু হয়েছে। কিন্তু টেস্ট বাড়াতে গেলে পরিকাঠামো প্রয়োজন। সেই কাজ চলছে। আগামী দিনে ওয়ার্ডভিত্তিক অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। অন্যদিকে, হোম আইসোলেশনে থাকা অনেকেই নিয়ম মানছেন না। এর আগেও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন অতীন। তাঁর বক্তব্য, বর্তমানে শহরে আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনকে তথ্য দিচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে সেইসব পরিবারকে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য পৃথক ঘর, আলাদা বাথরুমের প্রয়োজন। অনেকের বাড়িতে এই দুটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকলেও তাঁরা পুরসভাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হোম আইসোলেশনে থাকছেন। এই সব বিষয়ে বরো কো-অর্ডিনেটর দের আরও খোঁজ-খবর নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।