উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
বনমালি সরকার স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, কুমোরটুলি স্ট্রিট সহ ওই এলাকায় দেখা গেল, বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে তৈরি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত ফুটের একচালা দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ। কোথাও বাঁশের কাঠামোর উপর চলছে খড় বাঁধার কাজ। কোথাও বা কাঠামোতে পড়েছে সদ্য মাটির প্রলেপ। কোথাও কোথাও আবার সবেমাত্র শুরু হয়েছে বাঁশ-কাঠ দিয়ে কাঠামোর কাজ।
গত চার মাসে চলে গিয়েছে একাধিক পুজো-পার্বণ। কোনও প্রতিমা তৈরির কাজ না পেয়ে শিল্পীরা তীব্র অনটনে পড়েছিলেন। দু’মুঠো ভাত জোগাড় করবেন কী করে, সেটাই ভেবে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে আসছে প্রতিমার বরাত। তা সে একচালার হলেও শিল্পীদের মধ্যে খুশির ছোঁয়া। কথা হচ্ছিল শিল্পী খোকন পালের সঙ্গে। বললেন, প্রতি বছর আমরা যে ক’টির বরাত পাই, তার বাইরে ২-৪টি হলেও অতিরিক্ত দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে থাকি। শেষ দিকে তা বিক্রিও হয়ে যায়। কিন্তু এবার তো তার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে এখনও পর্যন্ত ২০টি একচালা প্রতিমার বরাত পেয়েছি। তারই কাজ চলছে।
শিল্পী অজয় পাল জানালেন, গত দু’সপ্তাহে বরাত পেয়েছি আটটি একচালা প্রতিমার। জন্মাষ্টমীতে সংস্কার মেনে অনেক বনেদি বাড়ি বা সর্বজনীন পুজো কমিটি বরাত দিয়ে থাকে। আশা করছি, এবারও ওই দিনটিতে কিছু প্রতিমার বায়না পাব। শিল্পী মায়া পালের বয়স হয়েছে। এখন আর সে অর্থে প্রতিমা ‘তৈরি’ করেন না, তবে রংয়ের প্রলেপ দেন মাঝেমধ্যে। তাঁর ঘরে দু’জন কারিগর একচালা প্রতিমার কাজ করছেন। মায়াদেবী বলেন, ১৫ দিনে পাঁচটি একচালা প্রতিমার বরাত পেয়েছি। প্রথমে তো ভেবেছিলাম, এবার হয়তো কোনও কাজই জুটবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘তিনি’ সহায় হয়েছেন। আমরা এতেই খুশি। আর দু’জন জানিয়ে গিয়েছেন, জন্মাষ্টমীর দিন তাঁরা পাঁচ ফুটের একচালা প্রতিমার বরাত দিয়ে যাবেন।
ওই চত্বরে এক শিল্পীর ঘরে দুই কারিগর আদিত্য
কর্মকার ও সঞ্জিত রানা রেডিওতে গান শুনতে শুনতে খড় বাঁধার কাজ করছিলেন। তাঁরা বললেন, এতগুলো দিন
বড্ড অভাবের মধ্যে যাচ্ছিল। এখন আবার কাজ শুরু হওয়ায় মনটা কিছুটা হলেও ভালো লাগছে। দুটো টাকার মুখ তো দেখতে পাব। দু’বেলার ভাতটুকু জোগাড় করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ছিল।