কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
শুক্রবার রাতের ঘটনা। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের সুকান্ত সরণী। স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে তুমুল ঝগড়ার পরই তাঁদের খুন করে চম্পট দেয় জামাই। শনিবার সকালে বাসুদেব গঙ্গোপাধ্যায় (৭৬) ও সুনীতা পণ্ডিতের (৩৭) ক্ষতবিক্ষত দেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করে পুলিস। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয়। রমেশ পণ্ডিত নামে অভিযুক্ত ওই জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। শনিবার রাত পর্যন্ত তার কোনও হদিশ মেলেনি। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী শিশুকন্যাকে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিস। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী অফিসারদের মনে হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই রমেশ তাঁদের খুন করে। সুনীতা ছিলেন বাসুদেববাবুর পালিত কন্যা। কিছুদিন ধরেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করত রমেশ। মূলত তা থেকেই স্বামী-স্ত্রী’র ঝামেলার সূত্রপাত।
এদিন সকালে বাসুদেববাবুর বাড়ির বাগানে এক মহিলা ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। ফুল তোলার পর তাঁর নজরে আসে বাড়ির দরজা হাট করে খোলা। বাবা ও মেয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে। জীবিত প্রাণ শুধু ওই শিশুকন্যা। তিনিই প্রতিবেশীদের ডেকে জড়ো করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিস এসে দু’টি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, বাসুদেববাবু ও সুনীতার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকী দু’জনের গোপন স্থানে গভীর ক্ষতচিহ্নও লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুনীতার গলায় ভাঙা বোতলও ঢোকানো ছিল। বাড়ির বাথরুম থেকে একটি রক্তমাখা জামা ও প্যান্ট উদ্ধার করেছে পুলিস। সেটা রমেশের কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আক্রোশবশত স্ত্রী ও শ্বশুরকে হত্যা করেছে রমেশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে পালিত কন্যা সুনীতার সঙ্গে রমেশের বিয়ে দেন বাসুদেববাবু। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের একটি শিশুকন্যা হয়। তারপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু। সুনীতাকে মারধর করত রমেশ। এ নিয়ে থানায় একবার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন বাসুদেববাবু। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। গত ৬ মাস ধরে রমেশকে নিজের কাছে ঘেঁষতে দেননি সুনীতা। তবে গত ক’দিন ধরে বাসুদেববাবুর বাড়িতে ছিল রমেশ। শুক্রবার রাতে খুন করার আগে বাসুদেববাবু এবং সুনীতার সঙ্গে রমেশের তুমুল ঝগড়া ও বাদানুবাদ হয় বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।