অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ঝড়ের ধ্বংসলীলার পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সবথেকে খারাপ অবস্থা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি১ ও ২ ব্লকের। এখানকার তিনটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আটটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সবকটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখনও বিদ্যুৎহীন। এছাড়া হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বসিরহাট১ ব্লকের বিভিন্ন প্রাথমিক ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। বিদ্যুৎ না-থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফ্রিজ বন্ধ রয়েছে। ফলে নানান গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা। কয়েক ঘণ্টা করে জেনারেটর চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছেনা।বহু ক্ষেত্রে আবার আশা কর্মীদের বাড়িঘর জলবন্দি হয়ে থাকায়, তাঁরা নিজেরাই বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ, এই তিনটি ব্লকের সিংহভাগ গ্রাম জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেউ চিকিৎসা করাতে আসতে পারছেননা। ইতিমধ্যেবহু এলাকায় জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।
ন্যাজাট১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা জানান, ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছে। নদীর ধারে উঁচু বাঁধে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী নেই। বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় সরকারি ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না।
বসিরহাট মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল করার কাজেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট ছ’টি বিশেষ টিমকাজকরছে।তারা ভেঙে পড়া গাছ সরানোর পাশাপাশি বিদ্যুতের লাইন সারাই করে সংযোগ দিচ্ছে।আশা করা হচ্ছে, এক থেকে দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।