নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনসহ জেলার বহু বাড়িতে পুকুর রয়েছে। উম-পুনের প্রবল বৃষ্টিতে এমনিতেই সেসব প্লাবিত। কোথাও কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে পুকুরের সর্বনাশ করে দিয়েছে। ঝড়ে উড়ে আসা গাছের ডালপালাসহ পাতা, মৃত গবাদি পশু পচে গিয়ে সেই সব পুকুরের জল থেকে এখন মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তা আরও বিষময় হয়ে উঠেছে পুকুরগুলিতে মাছ মরে পচে ভেসে ওঠায়। দুর্গন্ধে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে নামখানা, গোসাবা, কুলতলি ও সাগর বিডিও অফিসে গিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রতিদিন।
প্রাথমিকভাবে সরকারি হিসেবে মাছের মড়কে ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা ২৫-৩০ হাজারের উপর। এর বাইরে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি মাছ চাষের বড় বড় জলাশয়গুলি। প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলাশয় চিহ্নিত করার কাজ হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট পুকুরগুলি শোধনের পরিকল্পনা হয়েছে। তবে এজন্য কিছুটা সময় লাগবে।
গ্রামাঞ্চলে দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ হয়। বুলবুলের সময় সুন্দরবনের এক থেকে দু’টি ব্লকের পুকুরের এরকম ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, উম-পুনের ধাক্কায় ২৯ টির মধ্যে প্রায় ২০ টি ব্লকের অধিকাংশ পুকুরের জল পচে দূষিত হয়ে গিয়েছে। তাতেই সেই সব জায়গায় মাছের মড়ক দেখা দিয়েছে।
জেলার মৎস্য বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, মোট কত পুকুর দূষিত হয়ে মাছ মারা গিয়েছে, নির্দিষ্টভাবে এখনও তার হিসেব কষা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ব্লক থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, চূড়ান্ত রূপ পেলে তা আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, বাড়ির পুকুরের জল পচে মাছের মড়কে সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্লকগুলি থেকে রিপোর্ট এসেছে। এর বাইরে সরকারি ও বেসরকারি মাছ চাষের জলাশয়গুলিতে একই কারণে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে। এমনিতে প্রথম ধাক্কায় প্লাবিত হওয়ায় মাছ ভেসে গিয়েছে। তারপর যা অবশিষ্ট ছিল, জলে পচন ধরায়, তাও মরে ভেসে উঠছে। -নিজস্ব চিত্র