অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ৪ থেকে ১৫মে পর্যন্ত প্রচেষ্টা প্রকল্পে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৪০ হাজার আবেদন এসেছিল। তারমধ্যে সাড়ে আট হাজার জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়। তাঁদের অ্যাকাউন্টে হাজার টাকা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম জমা নিয়ে গোড়ার দিকে জেলায় জেলায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে অনেকেই তা পূরণ করার পর জেলাশাসকের অফিসে জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। গত ২৭ এপ্রিল তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে এনিয়ে ঝামেলাও বাধে। প্রচেষ্টা প্রকল্পে অফলাইনে কোনও ফর্ম জমা নেওয়া হবে না বলে অর্থদপ্তর থেকে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়। এরপর অনলাইনে আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। ৪ থেকে ১৫মে পর্যন্ত প্রচেষ্টা প্রকল্পে জেলায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন।
অন্য কোনও পেনশন স্কিম কিংবা সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রচেষ্টা প্রকল্পে সুবিধা পাবেন না বলে আগেভাগে জানানো হয়েছিল। বাস্তবে দেখা গিয়েছে, পেনশন স্কিম নয়, অনেক অবস্থাপন্ন ব্যক্তিও ওই প্রকল্পে আবেদন করেছেন। ব্যবসায়ী থেকে চাকরিজীবী, দোতলা পাকা বাড়ি সহ গাড়ি রয়েছে, এরকম অনেকেই লকডাউনে কাজ হারানোর অজুহাতে প্রচেষ্টা প্রকল্পে আবেদন করেছেন। সেকারণে ৭৯ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে। কোনও একটি প্রকল্পে এত বিপুল সংখ্যক আবেদন বাতিল হওয়ার ঘটনাও বেনজির।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ব্লকে দু’হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যেমন, কোলাঘাট ব্লক থেকে প্রায় চার হাজার, ময়না ব্লকে তিন হাজার, ভগবানপুর-১ ব্লকে আড়াই হাজার, পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লক থেকে দু’হাজার করে প্রচেষ্টা প্রকল্পের আবেদন জমা পড়েছিল। অন্যান্য ব্লক থেকে গড়ে এক থেকে দেড় হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মধ্যে একটা বড় অংশ আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, তাঁরা সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রচেষ্টা প্রকল্পের সুবিধা পাননি। তাছাড়া সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় সুবিধাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের নামের তালিকা শ্রমদপ্তরের কাছে রয়েছে। শ্রমদপ্তরের অধীন এসএসওয়াই তালিকাভুক্ত বেশ কয়েক হাজার আবেদনকারীর নাম প্রচেষ্টা প্রকল্প থেকে বাদ পড়েছে বলে ওই প্রকল্পের অফিসার ইনচার্জ নিশান্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
লকডাউনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দোকানপাট, হোটেল, লজ, যানবাহন বন্ধ থাকায় অনেকের হাতে কাজ নেই। লকডাউনে নিজেদের কাজ হারিয়ে অনেকেই আলু-পেঁয়াজ, সব্জি, ফল বিক্রি করছেন। পরিযায়ী এবং কর্মহীন উভয়ক্ষেত্রে মানুষজনের জন্য সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিতে দু’রকম স্কিম হাতে নিয়েছিল রাজ্য। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই দু’টি স্কিমে প্রায় সাড়ে ৬৪হাজার মানুষ মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে পেলেন।