অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, একাধিক কারণে তদন্ত থমকে রয়েছে। প্রথমত, ভিডিও ফুটেজে যে যুবককে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে দেখা গিয়েছে, তাকে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে মূল অপরাধী অধরাই রয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার তদন্তে নেমে সিটের গোয়েন্দারা ওই এলাকারই দুই যুবকের খোঁজ পান। তাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ওই দুই যুবক সেদিন মোবাইল ফোনে মূর্তি ভাঙা থেকে অগ্নিসংযোগ—সবই ভিডিও করেছিলেন।
সিটের গোয়েন্দারা ওই দুই যুবকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন। এমনকী ক্ষতিপূরণ হিসেবে কলকাতা পুলিস ওই দুই যুবককে দুটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। কিন্তু নিট ফল শূন্য। কারণ, ওই ভিডিও ফুটেজের ফরেনসিক রিপোর্ট এখন হাতে পায়নি সিট। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবেই তা পড়ে রয়েছে। ফলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার তদন্তে মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ থেকে চার্জশিট সবই থমকে গিয়েছে। সাধারণত ভিডিও ফুটেজ থেকে অপরাধীকে শনাক্ত করা না গেলে তদন্তকারী সংস্থা, অপরাধীর ছবি সহ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে তথ্য চেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? গত বছর ১৪ মে’র ঘটনা। বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো চলাকলীন একদল দুষ্কৃতী বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা। এরপর কলকাতা পুলিসের তত্কালীন গোয়েন্দা প্রধান মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে ডিসি নর্থ-এর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিলেন।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মাকে ফোন করা হলেও তা বেজে গিয়েছে। মেসেজ পাঠানো হলেও উত্তর মেলেনি। অন্যদিকে, পদাধিকারবলে সিটের প্রধান তথা কলকাতা পুলিসের ডিসি নর্থ জয়িতা বসুকে হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন পাঠানো হলেও তিনি তা দেখেছেন, কিন্তু উত্তর দেননি।