প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
লকডাউনের সময় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো বাইক বা গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানা ও ট্রাফিক বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশের পরেই রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসাররা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরনো গাড়ি ধরতে শুরু করেন। যেহেতু ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করার ক্ষমতা থানার রয়েছে, তাই গাড়িগুলিকে সেখানেই পাঠানো হয়, যাতে আইন ভঙ্গকারী চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। অভিযোগ আসছিল বেশকিছু থানা ট্রাফিকের ধরা গাড়িগুলির বিরুদ্ধে কেস রুজু করতে গড়িমসি করছে। তুলনায় থানাগুলি নিজেদের কেসের উপর জোর দিচ্ছিল। এই সুযোগে ট্রাফিকের হতে ধরা পড়া গাড়িগুলো অনেক ক্ষেত্রে ছাড়া পাওয়ার মতো জায়গায় চলে যাচ্ছিল। তাতেই কর্তারা বুঝতে পারেন, দুই বিভাগের মধ্যে একটা সমন্বয়ের অভাব থাকছে। কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ক্ষেত্রে যেন ফাঁক না থাকে। দুই বিভাগকে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতে হবে। এরপরই দুই বিভাগ নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার জন্য নড়েচড়ে বসে। ট্রাফিকের বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে গাড়ি এবং চালককেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর থানায় ট্রাফিকের অফিসাররা কথা বলে নিচ্ছেন কটা গাড়ির বিরুদ্ধে কেস করা হল এবং বর্তমান অবস্থা কী। সঙ্গে সঙ্গেই থানা তার এলাকায় লকডাউন ভেঙে বাইরে বেরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে আলাদা মামলা রুজু করছে। থানা ও ট্রাফিক বিভাগের এই সাঁড়াশি চাপে শুক্রবার সকাল থেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ইতস্ততভাবে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম। রাস্তায় যে গাড়িকে অনাবশ্যক ঘুরতে দেখা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়েছে থানা অথবা ট্রাফিক বিভাগ। আগামী দিনে এই ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে কোনও কারণ ছাড়াই বাইরে ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে অবশেষে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুরের মধ্যে এই ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া বাইক সহ মোট আটটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লেকটাউন থানা এলাকায় একজনকে গ্রপ্তার করা হয়েছে এবং একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায় দুটি বাইক, দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তর থানা এলাকায় দুটি বাইক, একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন রোজ এই ধরপাকড় চলবে। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হবেন না।