প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া বলেন, পাচারকারীরা লকডাউনের মধ্যেও বাংলাদেশে মাদক পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য আটক করেছি। জওয়ানরা সতর্ক নজর রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতবর্ষ থেকে গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদক সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার হয়। করোনা আতঙ্কে ভারত ও বাংলাদেশে লকডাউন চলায় সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বহু জায়গায় জিনিসপত্রের কালোবাজারি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে মাদক পাচার অব্যাহত। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে মাদকের চাহিদা তুঙ্গে ওঠায় রাতারাতি মাদকের দামও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মাদকের কালোবাজারি শুরু হওয়ায় পাচারকারীরা ‘মাদক কেরিয়ারদের’ দেড়গুণ কমিশন দিয়ে কাজ করাচ্ছে। রাত আড়াইটে নাগাদ দুটি ট্যাভেরা গাড়িতে গাঁজা ভর্তি করে বাগদা ও কুরুলিয়া বাজার দিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে গাঁজা। শুধু বাগদা নয়, বনগাঁ, বসিরহাট, স্বরূপনগর, বসিরহাটের সীমান্ত দিয়ে রমরমিয়ে মাদক পাচার চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, লকডাউনে ওষুধের দোকান খোলা থাকছে। ওষুধের গাড়িতে খুব সহজে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট কলকাতা থেকে পৌঁছে যাচ্ছে সীমান্তবর্তী ওষুধ দোকান ও পাচারকারীদের ডেরায়। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে মাদক পাঠানো হচ্ছে। সীমান্তবর্তী গ্রামের যুবকরা বাইরে কাজে যেতে পারছে না। টাকার টোপ দিয়ে পাচারকারীরা তাদের কেরিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।