গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, নয়া বিধি অনুযায়ী ২৫ শতাংশ লেন নগদে টোল মেটানোর জন্য খুলে রাখার কথা ছিল। অর্থাৎ, যে প্লাজায় চারটি লেন, সেখানে নগদের জন্য একটি লেন খোলা থাকবে বলে বলা হয়েছিল। ‘ন্যাশনাল হাইওয়েস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’-র কলকাতা রিজিওনাল অফিসের এক কর্তা বলেন, যেহেতু বহু গাড়িতেই সেই সময় ফাস্ট্যাগ লাগানো ছিল না, তাই নয়া বিধি কিছুটা শিথিল করে দু’টি করে লেন নগদে টোল মেটানোর জন্য খুলে রাখার সিদ্ধান্ত হয় এক মাসের জন্য। সেই সময়সীমা শেষের পর বুধবার থেকে টোলপ্লাজায় একটি করে লেন নগদে টোল মেটানোর জন্য খোলা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হচ্ছে এ রাজ্যের তিনটি টোলপ্লাজাকে। ওই কর্তা বলেন, রাজচন্দ্রপুর, ধূলাগড় এবং ডানকুনি টোলপ্লাজায় এখনও বহু যানবাহন নগদেই টোল মেটাচ্ছে। তাই এই তিনটি জায়গায় সাময়িকভাবে ভিড় বাড়লে দু’টি করে লেন নগদে টোল মেটানোর জন্য খুলে দেওয়া হবে। ভিড় কম থাকলে নগদে টোল মেটানোর জন্য একটি লেনই খোলা থাকবে। এই ব্যবস্থা সাময়িক। মালিকদের কাছে আর্জি, দ্রুত গাড়িতে ফ্যাস্ট্যাগ লাগিয়ে নিন তাঁরা। তাতে টোলপ্লাজায় আরও সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারবে সেইসব যানবাহন।
এখনও পর্যন্ত হাওড়া জেলার ধূলাগড় টোলপ্লাজা দিয়ে যাওয়া গাড়ির প্রায় ৬২ শতাংশতেই ফাস্ট্যাগ স্টিকার লাগাননি চালক ও মালিকরা। ফলে এই বিপুল সংখ্যক গাড়িকে টোল ট্যাক্স মেটাতে এখন থেকে যেতে হবে ‘হাইব্রিড লেন’ দিয়ে। তাই আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এই লেনগুলিতে লম্বা যানজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার থেকেই তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে কিছুটা। এদিন থেকে যে নিয়ম চালু হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ফাস্ট্যাগ লাগানো নেই, এরকম কোনও যান ফাস্ট্যাগ লেনে ঢুকে পড়লে দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে। যেহেতু বেশিরভাগ যানবাহনই এখনও ফাস্ট্যাগ স্টিকার লাগায়নি, ফলে ওই লেনগুলিতে অস্বাভাবিক চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার দেখা যায়, ফাস্ট্যাগ লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বাকি লেনগুলিতে যানজট হয়েছে যথেষ্ট।
ধূলাগড় টোলপ্লাজার ফাস্ট্যাগ বিভাগের নোডাল অফিসার সাহিব হুসেইন বলেন, আমরা টোলপ্লাজাগুলিতে হেল্প ডেস্ক করেছি। সেখানে গিয়ে স্টিকার চাইলে তা লাগিয়ে দেওয়া হবে। লাগাতার প্রচারের পরও অনেকে তা করেনি। তাদের ধরতে হবে হাইব্রিড লেন। তবে ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থা করে নিলে যে সবারই লাভ, তা আমরা বুঝিয়ে যাব গাড়ির চালক ও মালিকদের।