অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কয়েক সপ্তাহ আগেই পাটুলির ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবেশ দপ্তরের প্রায় এক কোটি টাকায় তিনটি ঝিল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শুধু চারপাশে সৌন্দর্যায়নই নয়, সংস্কার করে মানুষকে সচেতন করাই এখানকার জনপ্রতিনিধির অন্যতম লক্ষ্য। এলাকার কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের কথায়, তিনটি ঝিল সংস্কার করা হচ্ছে। এই ঝিলগুলি সৌন্দর্যায়ন করাই আমার লক্ষ্য নয়, সংস্কারের পর এখানে চারপাশে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছোট ছোট বোর্ড লাগানো হবে। যেখানে লেখা থাকবে, ‘ময়লা ফেললে জলাশয় পাড়ে, ডেঙ্গু হবে নিজেদেরই ঘরে’, ‘পুরসভার অঙ্গীকার, এক ডেঙ্গু মুক্ত কলকাতার’। শুধু এই তিনটি ঝিলই নয়, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের অভ্যন্তরে জামা মসজিদ ঝিল, নর্থ ফুলবাগান ঝিল এবং বাঘাযতীন ই ব্লক ঝিলও পুরসভার টাকা দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। ঝিল ও জলাশয়গুলি সংস্কার করা হলে মানুষও নিশ্চিন্তে থাকবেন। তবে জলাশয়ে আবর্জনা ফেললে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাটুলির সংশ্লিষ্ট ঝিলগুলির পাশাপাশি কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডেও জলাশয় সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ও ঐতিহ্য বিভাগ সূত্রে খবর, প্রায় ২০-২১টি জলাশয় থেকে নোংরা-আবর্জনা তুলে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বা হতে চলেছে। হচ্ছে সৌন্দর্যায়নও। কোটি টাকার কাছাকাছি এই সংস্কারে ব্যয় করা হচ্ছে। কসবা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি ডেঙ্গুপ্রবণ। ওই বিভাগের কর্তাদের কথায়, আবর্জনায় ভরপুর জলাশয়গুলিতেই একাধিকবার ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার লার্ভা মিলেছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলার বিজন মুখোপাধ্যায়ও নিজে থেকে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর মতে, আমার এলাকায় জীবাণুবাহী মশার দাপটের পিছনে এই জলাশয়গুলিই মূলত দায়ী। সেগুলি সাফসুতরো না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছিল। আমার ওয়ার্ডে বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগও বিষয়টি জানে। যতটা পেয়েছি পরিবেশ ও ঐতিহ্য বিভাগের অর্থসাহায্যে কাজ করছি। পাশাপাশি, অন্য জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে জলাশয়গুলি সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। বিভাগীয় কর্তাদের কথায়, শুধু দক্ষিণ শহরতলির এই দু’টি ওয়ার্ডই নয়, বেহালার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররাও উদ্যোগী হয়েছেন।