অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
বুধবার সকাল ১০টায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়। সকাল থেকেই কর্মী, সমর্থকরা এই জায়গায় আসতে শুরু করেন। বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে থেকেই ওই জায়গায় বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মিছিল এনআরএস হাসপাতালের দিকে এগনোর সঙ্গে সঙ্গেই আটকে দেয় পুলিস। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মিছিল করার অনুমতি নেই হিন্দু জাগরণ মঞ্চের। তাই এগতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিস গ্রেপ্তার করে বেশ কিছু সমর্থককে। শিয়ালদহে পুলিস যে মিছিল করতে দেবে না, তা আগাম আঁচ করেছিলেন সংগঠনের বেশ কিছু কর্মী ও সমর্থক। তাঁদের একটা অংশ এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন। শিয়ালদহে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই এনআরএস চত্বরে জমায়েত করে থাকা কর্মীরা মিছিল করে ধর্মতলার দিকে এগতে থাকেন। এর মোকাবিলা করার জন্য পুলিস প্রথমে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। মৌলালিতে মিছিল আসতেই সেখানে কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিসকর্মী মিছিল আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সামান্য কয়েকজন পুলিসকর্মীর পক্ষে মিছিল আটকানো সম্ভব হয়নি। তাঁদের ধাক্কা মেরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কমী, সমর্থকরা এসএন ব্যানার্জি রোডে ঢুকে ধর্মতলার দিকে এগতে থাকেন। এই রাস্তায় থাকা অন্য পুলিসকর্মীরা তাঁদের বাধা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর মাঝে খবর যায় কন্ট্রোল রুমে। ধর্মতলায় আসেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার সহ অন্যান্য পুলিসকর্মীরা। কিন্তু ফোর্স তখনও কম ছিল। তাই হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হয় পুলিসের। বিরাট পুলিস বাহিনী এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। সংগঠনের দাবি, ধর্মতলায় তাঁদের সদস্যদের উপর লাঠি চালিয়েছে পুলিস। যদিও পুলিসের দাবি, লাঠি চালানো হয়নি, তা উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া হয়েছে মাত্র। আর সংগঠনের মিছিল করার কোনও অনুমতি ছিল না। যদিও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল।