উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রায় আড়াই বছর পর ছাত্রভোট হচ্ছে রাজ্যে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই তা শুরু হল। এদিন ভোট শুরু হতেই ক্যাম্পাসের বাইরে এসএফআই এবং আইসি বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশনের সমর্থকরা জমায়েত করেন। প্রথমে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর) পদে ভোট হয়। তার গণনাও দুপুরের মধ্যে শেষ হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন সংগঠন এগিয়ে রইল বা জিতল, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা চলে। কারণ উভয়পক্ষই দাবি করে, তারা এগিয়ে। এসএফআইয়ের পক্ষে বলা হয়, তারা ১১৫টি আসনের মধ্যে ৫৭-৫৮টি জিতেছে। আবার আইসি’র দাবি তারাই বেশি আসন পেয়েছে। তবে সেন্ট্রাল প্যানেলের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, পাঁচটি পদের মধ্যে চারটিতেই ২০০’র বেশি ব্যবধানে জিতেছেন এসএফআই-এর প্রার্থীরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, সভাপতি পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ১০৮৫টি ভোট, আইসি প্রার্থী পেয়েছেন ৬১৩টি ভোট। সহ সভাপতি পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ৯৯৯টি ভোট, আইসি প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪০টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ৮৪০টি ভোট, আইসি প্রার্থী পেয়েছেন ৫৭৪টি ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ৯১৯টি ভোট, আইসি প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪২টি ভোট। এবার প্রথমবার ‘নোটা’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এই নির্বাচনে। সেখানেও ভালো সংখ্যক ভোটই পড়েছে সবক’টি ক্যাটিগরিতে। এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে লড়াই করে এআইএসএফ। তারা সিপিআই-এর ছাত্র সংগঠন। সিআর পদে তাঁরা দুই থেকে তিনটি আসন জিতেছেন বলে দাবি করেন সংগঠনের সদস্য চয়ন গঙ্গোপাধ্যায়। আর তাতেই উৎসবে মেতে ওঠেন বামেদের এই ছাত্র সংগঠন। লাল আবির দিয়ে একে অপরকে মাখিয়ে চলে উচ্ছ্বাস। এদিকে, এই নির্বাচনের মধ্যেই উঠে আসে এবিভিপি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রসঙ্গও। এবিভিপি যে দু’-একটা আসন পেয়েছে, তা অবশ্য এসএফআই এবং আইসি স্বীকার করে। কিন্তু টিএমসিপি কোনও আসন পায়নি বলেই শোনা যায়। যদিও বিকেলে একদল পড়ুয়া সবুজ আবির মেখে এবং রসগোল্লা খাইয়ে দাবি করে, ৫টি সিআর পদে জয়ী হয়েছে টিএমসিপি।
বর্তমানে রাজ্যের মাত্র দু’-তিনটি কলেজে ক্ষমতায় এসএফআই। এবার প্রেসিডেন্সির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ দখল করা তাদের কাছে আসন্ন ছাত্র নির্বাচনে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।