উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বৃহস্পতিবার হরিপালের দীপা শাখার পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে দ্বারহাট্টা পঞ্চায়েত এলাকার কনকপুর গ্রামের বাসিন্দারা পাশবই আপডেট করে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। সাহেব সব্বর নামে ওই এলাকার বাসিন্দা বলেন, ১০০ দিনের কাজ না করলেও আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে এবং সরকারি প্রকল্পের গৃহনির্মাণের টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৮০০ টাকার উপর টাকা তুলে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। সেখ ইজাজুল হক ও সেখ আবুল নাজিম অভিযোগ করেন, তাঁদের বাবার কয়েক বছর আগে মৃত্যু হলেও মৃত পিতার নামে জব কার্ডের টাকা তুলে নিয়েছেন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। বিনোদিনী সব্বর বলেন, ১০০ দিনের কাজ চাইলে আমাদের কাজ নেই বলে ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী। পরে জানতে পারি আমাদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করছেন তিনি। বিডিও, পঞ্চায়েত সহ সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানানো হলেও কোনও সুব্যবস্থা হয়নি। গরিব গ্রামবাসীর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা ওই তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবি জানাই আমরা।
এই বিষয়ে হরিপালের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবাশিস পাঠক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানাব। গত ২৫ অক্টোবর রতন মল্লিক নামে এক ব্যক্তি হরিপালের বিডিও অফিসে এই মর্মে অভিযোগ জানান। বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা তৃণমূল নেতা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার থানায় গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। বিডিও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যে সমস্ত সরকারি কর্মী গরিব মানুষের টাকা আত্মসাতের বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তৃণমূল নেতার গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ কখনোই মেনে নেব না আমরা। অবিলম্বে তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের দাবি জানাই আমরা। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বিজেপি।