বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিধাননগর পুরসভার ৪১ জন কাউন্সিলারের মধ্যে সব্যসাচীকে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার সংখ্যা ৩৯। সব্যসাচীকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৮ জনকে আজকের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের ডাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। তৃণমূল মহলে জোর জল্পনা, সব্যসাচীকে সরানোই হচ্ছে। সে কারণেই তাঁকে বাদ দিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
গত কয়েকমাস ধরেই সব্যসাচীকে ঘিরে দলের অন্দরে বির্তক চলছিল। তাঁর বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দম খেতে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। অসন্তুষ্ট হন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে সব কাউন্সিলারকে নিয়ে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে ডাকা হয় সব্যসাচীকেও। সেখানে দলের অনুগত সৈনিকের মতো কথা বলেন সব্যসাচী। কিন্তু, ভোটের সময় এবং ভোট পরবর্তী সময়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে সব্যসাচীবাবু অনেক কাজ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে দলের অন্দরেই। সম্প্রতি বিধাননগরের ডেপুটি মেয়রও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।
সব্যসাচীবাবু পুরসভার কাউন্সিলারদের মধ্যে সংখ্যালঘু। দলীয় সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ জন কাউন্সিলার স্বাক্ষর করে সম্প্রতি দলনেত্রীকে নিজেদের অভিযোগের কথাও জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সব্যসাচীর সঙ্গে কাজ করা যাচ্ছে না। তিনি কোনও সহযোগিতা করছেন না। গত লোকসভা ভোটেও তাঁর ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। অবশ্য সব্যসাচীর বক্তব্য, লোকসভা ভোটে তাঁকে কোনও কাজ দেওয়া হয়নি।
দলীয় সূত্রের একাংশের দাবি, বরাবরই দলের মধ্যে সব্যসাচীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি চান না দল ভাঙুক। দল ছেড়ে কেউ বেরিয়ে যান। তাই তাঁকে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বারবার সব্যসাচীর হয়ে দরবারও করেন। কিন্তু তারপরও সব্যসাচী তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা চালিয়ে যান। সম্প্রতি সল্টলেকের একটি অনুষ্ঠানে ফের মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, কথাও হয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত ১৮ জুন নজরুল মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে সব্যসাচীর সামনেই উষ্মা প্রকাশও করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের সময় শাসক দলের মেয়র তথা বিধায়কের উপস্থিতিতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট চান। মমতা তাঁকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অবশ্য সব্যসাচীবাবু জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ভবনে ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওটা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের জায়গা। কেন তাঁরা সেখানে ভাঙচুর করবেন? আট-দশ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। ধাক্কাধাক্কিতে দরজার কাচ ভেঙে গিয়েছিল। কাউন্সিলারদের কোনও মিটিং ডাকার কথা আমি জানি না। আপনার মুখেই শুনলাম।