বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বরোতে প্রত্যেকদিনই সাধারণ বাসিন্দাদের তাঁদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আবেদন জমা দেন। কিন্তু, সেই আবেদন সময়মতো পুরসভায় পৌঁছায় না। ফলে নাগরিকদের পরিষেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের দাবি, অধিকাংশ বরো থেকে পুর ভবনে যাতায়াত করার জন্য কোনও গাড়ি প্রত্যেকদিন থাকে না। সপ্তাহে তিনদিন (সোম, বুধ, শুক্র) পুর ভবন থেকে গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে করেই নিত্যদিনের ফাইলপত্র পুরভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি বরোতে অবশ্য নিত্যদিন গাড়ি যায়। কিন্তু, যে বরোগুলিতে নিয়মিত গাড়ি যায় না, সেখান থেকেই ফাইলপত্র পাঠানো নিয়ে এই সমস্যা দেখা দেয়।
সম্প্রতি এবিষয়ে বরোগুলির সঙ্গে পুরকর্তারা একটি বৈঠকও করেছিল। সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন বরোর আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি ছিল, প্রত্যেকদিন বরোর কাগজপত্র পাঠানোর জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি বরো থেকে কোনও নাগরিক তথ্য পরিদর্শনে কোনও এলাকায় যেতে হয়। সেবিষয়েও যাতায়াত করারও কোনও মাধ্যম বরোগুলিতে নেই বলে বরো আধিকারিকদের দাবি।
এবিষয়ে একাধিক কাউন্সিলারদের পক্ষ থেকেও পুরসভার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে মিউটেশন, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র প্রভৃতি বিষয়ক নথি সময়মতো পুরভবনে না পৌঁছানোয় নাগরিক পরিষেবা বিলম্বিত হচ্ছে। এরপরেই পুরসভার পক্ষ থেকে মাসিক অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বরোগুলিতে যাতায়াত বাবদ ২০ হাজার টাকা প্রত্যেক মাসে দেওয়া হবে। বরো সূত্রের খবর, প্রত্যেক বরোতে বিভিন্নখাতে খরচের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেখানেই আরও ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বরোগুলিকে। সেই টাকা থেকেই একটি গাড়ি ভাড়া রাখা হবে। যা বরোর প্রত্যেকদিনের ফাইলপত্র পুরভবনে পৌঁছে দেওয়ার কাছে ব্যবহার করা হবে। তবে বরো থেকে বিভিন্ন কাজ পরিদর্শনে এলাকায় এলাকায় যেতে হয়। সেই কাজে এই গাড়ি ব্যবহার করা যাবে কি না, সেবিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে পুরকর্মীদের দাবি। পুরসভার দাবি, এবিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হবে। ওই ২০ হাজার টাকা কোন খাতে খরচ করা যাবে, তা সেই নির্দেশিকাতেই স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।