বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আর্কিটেকচার, সিভিল, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই বিভাগগুলি প্রযুক্তি ভবনে। সেখান থেকেই চুরির ঘটনা ঘটেছে। কোনও বিভাগ থেকে দামি এলসিডি, ল্যাবরেটরি থেকে মেশিন গায়েব হয়ে গিয়েছে। আরেকটি বিভাগে সয়েল ল্যাবরেটরি থেকে যে সব জিনিস চুরি হয়েছে, তার ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সম্প্রতি অধ্যাপক সংগঠন জুটা এবং ফ্যাকাল্টির কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা এক বৈঠকে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। এত নিরাপত্তার মধ্যেও কী করে এই দুঃসাহিসক চুরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, যে বিভাগগুলি থেকে জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে, সেখানে মূল দরজায় তালা বন্ধ ছিল। অথচ, ভিতরে ল্যাবরেটরি থেকে যন্ত্রপাতি হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করে প্র্যাটিক্যাল ক্লাস হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের আশঙ্কা, কোনওদিন পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্রও গায়েব হয়ে যেতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করলে, আগামীদিনে বড়সড় বিপত্তি ঘটে যেতে পারে। বর্তমানে বিভাগগুলি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রশ্ন হল, কারা এই চুরির ঘটনায় জড়িত? নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্তার কথায়, এই চক্রে এক শিক্ষাকর্মী নেতা ও এক নিরাপত্তারক্ষী জড়িত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এখনও চুরির কিনারা করতে না পারায়, সব মহলে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, আমরা এই ঘটনায় থানায় এফআইআর দায়ের করেছি। যে সব বিভাগে চুরি হয়েছে, তাদের প্রধানদের বলেছি, এই ঘটনা এড়াতে কী কী পদক্ষেপ করা দরকার। থানার রিপোর্ট এবং প্রধানদের বক্তব্য দেখে বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষেপ করবে। এছাড়াও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও বৈঠক করে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। যাঁর যেখানে দায়িত্ব, সেখান থেকে যদি কোনও জিনিস চুরি যায়, তাহলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে তাঁকেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সিসিটিভি নেই। ফলে এই ধরনের ঘটনা যে ঘটছে, তা ধরা যে কার্যত অসম্ভব, তা মানছেন সবাই। কিন্তু ক্যাম্পাসে কোথাও এমন ক্যামেরা যে বসানো হবে না, তা আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ পড়ুয়াদের তরফে ক্যামেরা বসানোয় প্রবল আপত্তি আছে। এসবই যে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা মানছেন শীর্ষকর্তারা।