বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ইস্ট-ওয়েস্ট পথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানোর চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে গত মাসের শেষের দিকে ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (সিআরএস)-র কাছে আবেদন করেছিল কেএমআরসিএল। সেই সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও। সংস্থার কর্তারা আশায় ছিলেন, জুলাই মাসের প্রথম দিকেই সিআরএস ইন্সপেকশন হয়ে যাবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চলে আসার ব্যাপারেও আশাবাদী ছিলেন কর্তারা।
কিন্তু কেএমআরসিএল এবং মেট্রো রেলের বিশ্বস্ত সূত্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ইন্সপেকশনের জন্য সিআরএস চলতি মাসের ১৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সময় দিয়েছে। কেএমআরসিএলের এক কর্তার কথায়, ইন্সপেকশনের জন্য এক থেকে দু’দিন সময় লাগবে। দরকার পড়লে তিনদিনও লাগতে পারে। সেই রিপোর্ট হাতে পেতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে। সেই রিপোর্টে সিআরএস যদি কোনও পরামর্শ দেন, তা রূপায়ণ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সব মিলিয়ে পরিষেবা শুরু করতে জুলাই মাস পার হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন কর্তারা।
প্রথম পর্বে ৪.৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে। এই পর্বে মোট ছ’টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তার মধ্যে বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং স্টেডিয়াম স্টেশনের ‘ফায়ার ক্লিয়ারেন্স’ এখনও মেলেনি। কবে তা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেএমআরসিএলের এক কর্তা বলেন, দু’টি স্টেশনের ‘ফায়ার ক্লিয়ারেন্স’ পাওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা চলছে। আশা করছি, ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হবে না।
কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, পরিষেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় রেক ইতিমধ্যেই এসেছে। এখনও পর্যন্ত ১১টি রেক এসেছে। প্রথম পর্বের জন্য পাঁচটি রেককে ব্যবহার করা হতে পারে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও পরিষেবা চালানোর দায়িত্বে থাকবে মেট্রো রেল। মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, পরিষেবা শুরু জন্য সিআরএসের ছাড়পত্র জরুরি। যেভাবে কাজ এগচ্ছে, তাতে আগস্ট মাসের আগে পরিষেবা শুরু করা যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই মেট্রো পথের ভাড়ার তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। পরিষেবা সূচনার পর যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য টোকেন, স্মার্ট কার্ডের পাশাপাশি থাকবে ‘মোবাইল টিকেটিং সিস্টেম’ও। মোবাইল টিকেটিংয়ের জন্য বিশেষ অ্যাপ তৈরির কাজ চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথে দ্বিতীয় পর্যায়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবার সম্প্রসারণ চলতি বছরের শেষের দিকে করা হবে বলে আপাতত ঠিক রয়েছে।