কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিসকে নিগ্রহের অভিযোগে কয়েকদিন আগেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাকেশকে। সেই মামলায় আলিপুর আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হয়। এদিকে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর কাণ্ডে তাঁকে হেফাজতে নিতে পুলিস ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানায়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ওই নেতাকে পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যদিও এদিন রাকেশের আইনজীবী ফজলে আহমেদ খান বলেন, পুলিস আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। ওই আইনজীবী বলেন, পুলিস অভিযুক্তকে হেফাজতে পেতে কোর্টের কাছে যে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ এর আবেদন জানিয়েছিল, তা আইনসিদ্ধ ছিল না। তাই আমাদের আর্জি, যে কোনও শর্তে রাকেশবাবুকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। যদিও সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
এদিকে, এই মামলায় অভিযুক্ত ৩৬ জনের মধ্যে একজনের জামিন হলেও বাকি ৩৫ জন বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। এদিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে সরকারি আইনজীবী জামিনের আপত্তি জানান। বলেন, তদন্ত চলাকালে এত সংখ্যক অভিযুক্ত জামিন পেলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাতে পারেন। অন্যদিকে, ধৃতদের তরফে আইনজীবী পারশনাথ যাদব সহ একাধিক আইনজীবী বলেন, এই মামলায় নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। তাই তাঁরা জামিন পেলে অসুবিধা কোথায়? কোর্টে ওই আইনজীবীদের তরফে যুক্তি ছিল, জামিন পেলেও তো কোনও মামলার তদন্ত চলতে পারে। যদিও তা নিয়ে সরকারি আইনজীবী কোর্টে তীব্র আপত্তি তোলেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মামলার যাবতীয় নথিপত্র ও কেস ডায়েরি (সিডি) খতিয়ে দেখে ৩৫ অভিযুক্তকে ফের ২৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার পর কড়া পুলিসি প্রহরায় অভিযুক্তদের প্রিজন ভ্যানে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।