কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে থেকে ধাপা, মেট্রোপলিটন, তপসিয়া বাইপাস, বৈশালী, পটারি, বানতলা, বেলেঘাটা রুটের অটো ছাড়ে। প্রতিটি রুটই যাত্রী মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। সকাল-সন্ধ্যার অফিস টাইমে যাত্রীদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। দিনের বাকি সময়েও কমবেশি ভিড় লক্ষ করা যায়। এদিন আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই পরিষেবা শুরু হয়েছিল প্রতিটি রুটেই। কিন্তু, সকাল ন’টার পর থেকে কমতে শুরু করে অটোর সংখ্যা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেলেঘাটা রুটটি ছাড়া বাকি রুটে অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটে ধাপা-চিত্তরঞ্জন রুটেও।
কেন হঠাৎ পরিষেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত? চালকদের অনেকেরই দাবি, শিয়ালদহ থেকে নিত্যদিন বিভিন্ন রুটে এমনিতেই অসংখ্য অটো চলাচল করে। তার উপর নতুন করে বেআইনিভাবে চলাচলকারী অটোগুলিকেও পারমিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এক অটোচালক বলেন, প্রশাসন আমাদের কথা কানে তুলছে না। রুটে অটোর সংখ্যা বেড়ে গেলে আমাদের আয় কমে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বেলেঘাটা রুটে অটো বন্ধ করার পিছনেও এই যুক্তি তোলা হয়েছিল। সেদিনই মোটর ভেহিকেলস দপ্তর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। মোটর ভেহিকেলসের এক কর্তা বলেন, ভোটের জন্য অটো নিয়ন্ত্রণের কাজ তো করাই যায়নি। শিায়ালদহেও নতুন করে পারমিট ইস্যু করার কোনও ঘটনা ঘটেনি।
দিনের পর দিন ধরে অটোচালকদের গাজোয়ারি মনোভাবে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন বহু যাত্রীই। আইএনটিটিইউসির উত্তর কলকাতার সভাপতি মানা চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির চক্রান্তে এমন ঘটনা ঘটছে। এসব মেনে নেওয়া যাবে না। যাত্রীদের পরিষেবা দিতে হবে। অটো আইনি না বেআইনি তা পুলিস দেখছে। আইন আইনের পথে চলবে।