কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
জেলাস্তরে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কাছে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম পূরণ করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে হবে পরিবারের সদস্যদের। তাঁর সঙ্গে জমা দিতে হবে ডেথ সার্টিফিকেট, মৃতের বাড়ির ঠিকানা, পরিবারের সদস্যের (যাঁর কাছে টাকা যাবে) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মৃতের সঙ্গে দাবিদারের সম্পর্কের মতো বিস্তারিত তথ্য। আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে সেই অর্থ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কোভিড ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এক মামলায় বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় এনডিএম-র গাইডলাইনের বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও গত ১১ সেপ্টেম্বর সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় গত ৩০ জুন কেন্দ্রকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেটিই আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র। কোভিডে মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি উঠেছিল। তারই ভিত্তিতে এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে একটি গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সংক্রমণের একেবারে গোড়ার দিকে মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু মৃত্যু বাড়তে থাকায় সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতিপূরণ রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট তহবিল থেকে যাবে কেন? শুধু তাই নয়, এর জন্য রাজ্যের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত অর্থও থাকতে হবে। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলার সম্ভাবনা প্রবল। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, এমনিতেই কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য তথা কেন্দ্রের তহবিল থেকে প্রচুর অর্থ খরচ হচ্ছে। বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ হলেও কোভিডে মৃতের পরিবারকে চিকিৎসা ও অন্যান্য খাতের রাহাখরচ দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভবিষ্যতে আরও কত ভয়ঙ্কর হতে পারে জানা নেই। তবুও মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকতেই এই সুপারিশ করেছে এনডিএমএ। আর এখানেই আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা ফান্ড করেছেন। নিয়েছেন আরও একাধিক পদক্ষেপ। উল্টোদিকে, কেন্দ্রের কাছ থেকে আমরা প্রাপ্য টাকাও পাই না। সব কিছু রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিলে চলবে কি করে? একই প্রশ্ন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের।