কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
মামলাকারী তথা চটকল মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ) চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, ২০১৬ সাল থেকে উৎপাদন খরচের নিরিখে বস্তা প্রতি আমরা অনেকটাই কম দাম পাচ্ছি। এনিয়ে বারবার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা আদালতে মামলা করতে বাধ্য হই। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ট্যারিফ কমিশনকে বস্তার মূল্য নির্ধারণের দিকটি খতিয়ে দেখে সুপারিশ-রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়। সেই মতো গত ৩১ মার্চ তারা সেই রিপোর্ট বস্ত্রমন্ত্রকের কাছে জমাও দেয়। তাতে বর্ধিত মূল্য দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন। কিন্তু তারপরও মন্ত্রক এবং তাদের প্রতিনিধি জুট কমিশনারের অফিস এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আইজেএমএ। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বর্ধিত দাম দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আইজেএমএ একদিকে যেমন বর্ধিত দামের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে, তেমনই আদালত অবমাননার অভিযোগে জুট কমিশনারকে আইনজীবীর চিঠি ধরায়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ওই সুপারিশ কার্যকর না করায় তারা আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি পদক্ষেপের কথা ভেবেছিল। তবে আপাতত রিট পিটিশনের মামলায় তারা প্রাথমিক জয় পাওয়ায় এখনই আদালত অবমাননার বিষয়টি নিয়ে এগতে চাইছে না। বর্ধিত দাম নিয়ে মোদি সরকার কী পদক্ষেপ করে, তার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তারা, এমনটাই জানিয়েছে। তারপর এব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।