কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
বর্তমানে জ্বালানি নিয়ে হয়রানির অন্ত নেই মানুষের। পেট্রল, ডিজেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাসেরও। সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। কয়লার দামও যথেষ্ট। এই পরিস্থিতিতে মানুষ বিকল্প খুঁজছেন। এবার তারই সন্ধান দিচ্ছে সিএমইআরআই। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সব্জি মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার পর গাছের বাকি অংশ দিয়েই মেশিনে ব্রিকেট প্রস্ততি হবে। ইতিমধ্যেই এই বিশেষ জ্বালানি দুর্গাপুরের বেশ কিছু হোটেলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে। সিএমইআরআইয়ের দাবি, প্রয়োগ সফল হয়েছে। তবে প্রথমদিকে কয়লার তুলনায় কম সময় উনুনে আঁচ হচ্ছিল। তাই সেটি আরও আধুনিক করা হচ্ছে। সব্জির বা অন্যান্য সবুজ গাছ থেকে যাতে আরও বেশি পরিমাণ জলীয় উপাদান বার করা যায় তা দেখা হচ্ছে। এরফলে আরও ভালো আগুনের তেজ পাওয়া যাবে। বিষয়টিকে বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করার জন্যও কথাবার্তা চলছে। সিএমইআরআইয়ের তৈরি মেশিনের দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পড়লেও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হলে তা অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এলাকার দূষণও কমবে।
এমনকী গ্যাসেরও বিকল্পের সন্ধান দিচ্ছেন সংস্থার বিজ্ঞানীরা। সৌরশক্তিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সঞ্চয় করে আধুনিক চুলায় হবে রান্না। গবেষক পার্থসারথী পাল বলেন, সোলার প্যানেল থেকে সৌরশক্তি টিউবলার ব্যাটারিতে এসে সঞ্চয় হবে। তা থেকেই বিশেষভাবে তৈরি চুলায় যাবে। এদিন আসানসোলের ব্রেইল অ্যাকাডেমিতে এটি বসানো হয়। জানা গিয়েছে, সিএমইআরআইয়ের সাহায্যে একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের স্কুলের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এই চুলার আরও একটি বিশেষত্ব ইলেক্ট্রিক হিটারে যেমন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকত, এতে তা হবে না। এদিন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সোমাত্মানন্দ এর সূচনা করেন।
সিএমইআরআইয়ের অধিকর্তা হরিশ হিরানি বলেন, দুটি বিষয়ই অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হলে ব্যবসার যেমন প্রসার হবে, তেমনই পরিবেশ উন্নত হবে। মানুষের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ধরনের সামগ্রীর উপর ভর্তুকি দেওয়ার কথাও ভেবে দেখার আর্জি জানান তিনি।