কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে অমরিন্দরের নেতৃত্বে পাঞ্জাবের ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। পরে বিজেপি ত্যাগ করে সিধু যোগ দিতেই শুরু হয় অসন্তোষ। বিভিন্ন ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে ফাটল চওড়া হতে থাকে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গান্ধী পরিবারের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সিধুপন্থী চান্নি। সেইসঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যায় যে আগামী নির্বাচনে সিধুর নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস। তারপরেই মুখ খোলেন অমরিন্দর। সিধুকে ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে তাঁকে আটকাতে লড়াই চলবে।
আর শনিবার গান্ধী পরিবারের একদা ‘আস্থাভাজনে’র ক্ষোভ গিয়ে পড়ল রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর। নাম না করে তাঁদের ‘অনভিজ্ঞ’ বলে তোপ দাগেন অমরিন্দর। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে নিজের ‘সন্তানতুল্য’ জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় আক্ষেপ ঝরে পড়ে। অমরিন্দরের কথায়, ‘সমস্যার (কোন্দল) সমাধান এভাবে হওয়া ঠিক হয়নি। আমি আঘাত পেয়েছি। আমি বিধায়কদের গোয়া বা অন্যত্র নিয়ে যায়নি। ওভাবে আমি কাজও করি না। আমি চমকে বিশ্বাসী নই। গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও সেকথা জানেন।’ এরপরেই তাঁদের ‘অনভিজ্ঞ’ বলে সমালোচনা করেন অমরিন্দর। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের উপদেষ্টারা তাঁদের ভুল পথে চালিত করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এখানেই থেমে থাকেননি পাঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের পক্ষে ‘ক্ষতিকারক’ সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আটকাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিকে হারাতে তাঁর বিরুদ্ধে অমরিন্দর দাপুটে প্রার্থী দেবেন। তাঁর কথায়, ‘গোপনে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে আমাকে অপমান করা হয়েছে। এভাবে শেষ হওয়া উচিত ছিল না। তাই আমি লড়াই চালাব।’ এই পরিস্থিতিতে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন ক্যাপ্টেন। ভবিষ্যৎ দিশা ঠিক করতে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে অমরিন্দরের সরস মন্তব্য, ‘আপনি ৪০ বছরেও বুড়ো হতে পারেন। আবার ৮০-তেও তরুণ থাকতে পারেন।’