কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
শাকির টেরিটোরিয়াল আর্মির ১৬২ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত বছর ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। বিহি বাগের সেনা ছাউনিতে ফেরার সময় মাঝরাস্তায় তাঁকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরদিন আপেল বাগানের কাছে অগ্নিদগ্ধ গাড়ি ও রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়। যদিও জওয়ানের কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, শাকির হয়তো জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু, পরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-বদরের এক স্বঘোষিত কমান্ডার শোয়েবকে আটক করে ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল। জেরায় ওই জঙ্গি জানায়, শাকিরকে খুন করে অজ্ঞাত জায়গায় দেহ পুঁতে দিয়েছে সে। এরপর ২৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সেনা। কিন্তু, জওয়ানের দেহ মেলেনি। বুধবার সকালে কুলগাঁওয়ের একটি মোবাইল টাওয়ারের নীচে শামিয়ানায় মোড়া দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের জওয়ানরা এসে দেহটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিসের হাতে তুলে দেয়। উদ্ধার হওয়া দেহটি শাকিরের কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সোপিয়ান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে রেসিপোরার কাছেই শাকিরের গ্রাম। তিনভাইয়ের মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী শাকির। দাদা মুজফ্ফরপুরে ট্রাক চালাতেন। কিন্তু, দুর্ঘটনার তিনি শয্যাশায়ী। ছোট ভাইও পড়াশুনো করে। তাই শাকির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গোটা পরিবার। ছেলের হদিশ পেতে দোড়ে দোড়ে ঘুরেছেন মনজুর। নিজেদের মতো করে পার্শ্ববর্তী ল্যান্ডোরা, কুন্দলান, মালপোরা, নিলদোরা, নিলহামায় শাকিরের দেহ খুঁজে বেরিয়েছেন তিনি। এদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মনজুর। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে কেউ কোনও সাহায্য করেনি। কোনও আর্থিক সহায়তা করা হয়নি। এমনকি, শাকির জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, সরকারি খাতায় শাকির নিখোঁজ। তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারে কোনও তথ্য মেলেনি। তাই শাকিরের পরিবার বেতন বা অন্য কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়নি।