কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে খবর, পুলিস কনস্টেবল শওকত আহমেদ খানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বদগাঁওয়ের বাসিন্দা শওকত এক পুলিসকর্মীর সার্ভিস রাইফেল ছিনতাই করেছিলেন। জনসুরক্ষা আইনে গত বছর আগস্ট মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বরখাস্ত করা হয়েছে কিস্তোয়ারের বাসিন্দা আর এক পুলিস কনস্টেবল জাফর হুসেন বাটকেও। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে দিতেন জাফর। পাশাপাশি, তাদের সুরক্ষিতভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দিতেন ওই পুলিসকর্মী। জঙ্গিযোগের অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৩০ আগস্ট জামিন পান তিনি।
বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মীদের তালিকায় রয়েছে এক শিক্ষকও। তাঁর নাম আব্দুল হামিদ ওয়ানি। বাড়ি অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারাতে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে জঙ্গি সংগঠন আল্লা টাইগারের জেলা কমান্ডার ছিলেন তিনি। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শ প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন হামিদ। চাকরি গিয়েছে আরও এক শিক্ষক লিয়াকত আলি কাকরোরও। ১৯৮৩ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বারামুল্লার এই বাসিন্দা। ২০০১ সালে বিস্ফোরক সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, স্থানীয় স্তরে জঙ্গির প্রশিক্ষণ পেয়েছেন লিয়াকত। ২০০২ সালেও তাঁর কাছ থেকে অস্ত্রসস্ত্র পাওয়া যায়। তারপর জন সুরক্ষা আইনে দু’বছর জেলে ছিলেন তিনি। যদিও পরে দু’টি মামলাতেই বেকসুর খালাস হয়ে যান তিনি। কিন্তু, চলতি বছরে ফের তাঁর কাছ থেকে দু’টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।
হিজবুল জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ চাকরি খুইয়েছেন কিস্তোয়ারের বাসিন্দা মহম্মদ রফি বাটও। রোড ও বিল্ডিং বিভাগে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। জঙ্গিদের হাতে সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, নাশকতায় সাহায্য করারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বেআইনি অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক ও জাল পাচারের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে রেঞ্জ অফিসার তারিক মহম্মদ কোহলিকে। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমবার মামলা রুজু হয়।