উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ব্লক কৃষি দপ্তর এবং কান্দি পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা এলাকায় হাজার হাজার চাষি পুরনো পদ্ধতিতে চাষ করেন। ধান, আলু, মাছ, ছাগল, মুরগি, গো-পালনে পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ফলে বাজারে তাঁদের পক্ষে টেক্কা দেওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এলাকার চাষিরা বহুদিন ধরেই আধুনিক পদ্ধতিতে কীভাবে চাষ করা যায় তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি করছিলেন। চাষিদের ওই দাবিকে সামনে রেখে সম্প্রতি উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে চাষ করা যায় সেই চেষ্টা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার কান্দি কিষাণ মান্ডিতে এলাকার প্রায় ৫০০ জন চাষিকে নিয়ে প্রশিক্ষণ চালু করা হয়। উদ্বোধনে হাজির ছিলেন বিডিও নীলাঞ্জন মণ্ডল, প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব সরকার সহ বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন কৃষি বিশেষজ্ঞ। এদিকে সোমবার থেকে ওই চাষিদের পুরোদমে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে কান্দি ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গৌরব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের চাষিদের ৫০ জন করে দল করা হয়েছে। যেমন ৫০ জন ধান চাষি, ৫০ জন আলু চাষি, ৫০ জন গোপালকের দল করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যায়ের চাষিদের সপ্তাহে তিনদিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে চাষিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভবান হবে পারবেন। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে চাষিদের একদিকে যেমন সরকারিভাবে শংসাপত্র বিলি করা হবে। তেমনই পঞ্চায়েত সমিতি প্রশিক্ষণ শেষে চাষিদের আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সাহায্য করবে।
প্রশিক্ষণ শেষে চাষিরা যাতে সহজ সুদে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ নিতে আসা এলাকার মহালন্দি গ্রামের ধান চাষি আবু সালেক বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে বিডিওর কাছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম।