উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তুরিন, ১১ নভেম্বর: আবার মেজাজ হারালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। রবিবার ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ স্টেডিয়ামে এসি মিলানের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচের ৫৫ মিনিটে তাঁর বদলে পাওলো ডায়বালাকে মাঠে নামান জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সিআরসেভেন। গোমড়ামুখে মাঠ ছেড়ে সাইড বেঞ্চের সামনে দাঁড়ানো কোচের সঙ্গে কয়েক মুহূর্ত কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর টানেল দিয়ে হাঁটা লাগান ড্রেসিং-রুমের দিকে। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট তিনেক আগে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান পর্তুগিজ মহাতারকাটি। বোঝাই যাচ্ছে, মাঝপথে তুলে নেওয়ার ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ। ম্যাচের শেষে মরিসিও সারিকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, ‘রোনাল্ডো কখন স্টেডিয়াম ছেড়েছে তা আমি জানি না। তবে যদি খেলা শেষের আগে ও বেরিয়ে যায় তাহলে তা নিয়ে সহ-ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কোথায় সমস্যা তা খুঁজে বের করা আমারই কাজ। ওর সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা আমার নেই। চোট থাকলেও দলের স্বার্থে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার জন্য রোনাল্ডোর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। গত মাসে হাঁটুতে চোট পায় ও। চিকিৎসা চললেও এখনও সেই সমস্যা পুরোপুরি কাটেনি। তাই রোনাল্ডোকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তুলে নিয়েছি। এই কারণে ওর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হতেই পারে। এটা খেলারই অঙ্গ। সব ফুটবলারই চায় পুরো ম্যাচ খেলতে।’
কোচ মরিসিও সারি যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোর বিরুদ্ধেও তাঁর পরিবর্তে ডায়বালাকে ব্যবহার করেছিলেন জুভেন্তাস কোচ। সেদিনও মাঠ ছাড়ার সময় বিরক্তি প্রকাশে ব্যস্ত ছিলেন সিআরসেভেন। গত তিনটি ম্যাচে গোল না পাওয়ায় এমনিতেই মনমেজাজ খারাপ তাঁর। তার উপর পরিবর্ত হিসেব ডায়বালাকে নামানোর সিদ্ধান্ত অহংবোধে ঘা দিয়েছে পর্তুগিজ মহাতারকাটির। কিন্তু সারির এই মাস্টারস্ট্রোকেই এসি মিলানকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে তুরিনের ওল্ড লেডি (১২ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট)। রবিবার মিলানের বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করেছেন ডায়বালাই। তাঁকে পাস বাড়িয়েছিলেন আরেক আর্জেন্তাইন গঞ্জালো ইগুয়েন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্তার মিলান এই মুহূর্তে ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।
রবিবারের ম্যাচে জুভেন্তাসের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছে এসি মিলান। কন্তি-রোমাগনলিরা বাড়তি জায়গা দেননি রোনাল্ডোদের। ডাবল জোনাল কভারিংয়ে রক্ষণ দুর্ভেদ্য রাখাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। জুভেন্তাসের গোলরক্ষক সেজনি গোটা ম্যাচে অন্তত তিনবার দক্ষতার শীর্ষে উঠে দলের পতন রোধ না করলে ফল অন্যরকম হতেই পারত। ৭৭ মিনিটে ইগুয়েনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে গোলমুখ খুলে নেন ডায়বালা। তারপর ডান পায়ের শটে কাঁপিয়ে দেন জাল (১-০)।