কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ক্রিকেট জীবনেও বারবার রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন সৌরভ। তবে যাবতীয় বাধা ও বিপত্তি অতিক্রম করে তিনি সাফল্য অর্জন করেছিলেন। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠালাভের পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সৌরভ। তাই প্রাক্তন ক্রিকেটার বলছেন, ‘বোর্ড সভাপতি হিসাবেও সৌরভ দারুণ কাজ করবেন।’রবিবার রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিদের সভা ছিল মুম্বইয়ে। ওই সভাতেই বোর্ডের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা কারা মনোনয়ন দেবেন, তা ঠিক হওয়ার কথা ছিল। শনিবার রাতে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল বোর্ড সভাপতি হবেন সৌরভই। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে চাকা ঘুরতে শুরু করে। এন শ্রীনিবাসন মরিয়া হয়ে ময়দানে নেমে পড়েন ব্রিজেশ প্যাটেলকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করার জন্য। শ্রীনি-লবির যুক্তি ছিল, সৌরভকে দশ মাস পরেই কুলিং অফে যেতে হবে। তার থেকে ব্রিজেশ প্যাটেল বোর্ড সভাপতি হলে পুরো তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রথম দফার বৈঠকে কার্যত সভাপতি পদে ব্রিজেশ প্যাটেলের নামে শিলমোহর পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নৈশভোজের টেবলে নাটকীয় পটপরিবর্তন হয়। অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার সঙ্গে সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, সচিব অভিষেক ডালমিয়ার গোপন বৈঠক হয়। সেখানেই জট খোলে। প্রশ্ন তোলা হয়, জয় শাহ যদি দশ মাসের জন্য সচিব হতে পারেন, তাহলে যোগ্য প্রার্থী হয়েও সৌরভ কেন সভাপতি পদে মনোনয়ন দিতে পারবেন না? শেষ পর্যন্ত এই যুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অধিকাংশ প্রতিনিধিরা। শ্রীনিবাসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ব্রিজেশ প্যাটেলকে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সর্বসম্মতিক্রমেই বোর্ড সভাপতি হিসাবে সৌরভের নাম গৃহীত হয়েছে।