কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বন্ধুপ্রকাশবাবুর আর্থিক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে দুধ বিক্রেতা এবং কাপড়ের দোকানেও ধার হয়ে গিয়েছিল। একটি কাপড়ের দোকানের মালিক তাঁর কাছ থেকে প্রায় সাত হাজার টাকা পান। এছাড়া দুধ বিক্রেতাও পুলিসের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর টাকাও অনেক দিন মেটানো হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, সৌভিকই প্রকাশবাবুকে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আফশোস করে সেই কারণে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছিলেন। জেরায় সৌভিক বহু ব্যক্তিকে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছে। সে বহু মহিলাকেও প্রতারিত করেছে।
পুলিস জানতে পেরেছে, আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রকাশবাবু অনেকের বিমার টাকা নিয়েও তা জমা দিতে পারতেন না। সেই কারণে অনেকের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরে। খুনের অভিযোগে ধৃত উৎপল পুলিসকে জানিয়েছে, বিমার প্রথম কিস্তির টাকা বন্ধুপ্রকাশবাবু জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তিনি জমা দেননি। বারবার রসিদ চেয়েও তিনি দেননি। টাকা ফেরত চাইলে গালিগালাজ করেন। সেই কারণেই সে তাঁকে মেরে ফেলার ছক কষে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দু’-একদিনের মধ্যেই উৎপলকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে। তখনই সব কিছু আরও ভালো ভাবে বোঝা যাবে। তবে সে একা খুন করেছে বলে পুলিস নিশ্চিত। তাদের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার দিন ঘর থেকে একজনকেই বেরতে দেখেছিল। দুধ বিক্রেতা প্রথম তাকে ঘর থেকে বেরতে দেখেছিল। তিনি তাকে ধরতে না পারলেও এলাকা ছেড়ে যাননি। তিনি ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েই ফোন করতে থাকেন। ঘরের মধ্যে অন্য কেউ থাকলে তিনি দেখতে পেতেন। তাছাড়া প্রথমে এলাকায় বেশি ভিড় হয়নি। হাতেগোনা কিছু লোক ঘটনার পর ঘরে ঢোকে। অন্য দুষ্কৃতী থাকলেও তার ভিড়ে মিশে যাওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাছাড়া ধৃত যুবক জেরায় জানিয়েছে, সে একা খুন করেছে। এর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত নয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সৌভিক প্রকাশবাবুকে দেউলিয়া না করে দিলে হয়তো তাঁর এই পরিণতি হতো না। পুলিস সুপার মুকেশ কুমার বলেন, সৌভিক কীভাবে প্রকাশবাবুর টাকা নষ্ট করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।