কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, সংকল্প যাত্রা দ্বিতীয় দিন পুরাতন মালদহের আটমাইল থেকে শুরু হয়ে আইহোতে পথসভার মধ্যে দিয়ে যাত্রা শেষ হয়েছে। অনেকে আবেগের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধী অহিংস আন্দোলন করেছিলেন। তারই বার্তা সংকল্প যাত্রায় দেওয়া হয়েছে। গান্ধীজি দেশের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁর দেখানো পথে চলার জন্য পায়ে হেঁটে ‘পদযাত্রা’য় শামিল হচ্ছি। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গোপাল সাহা বলেন, সংকল্প যাত্রায় এদিন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব একজনকে গান্ধী সাজিয়ে ট্যাবলোর ব্যবস্থা করে। তাতে বাড়তি উৎসাহ ছড়ায়। প্রচুর কর্মী-সমর্থক গান্ধী সংকল্প যাত্রায় অংশ নিয়ে এদিনের যাত্রা সফল করেছেন। ইংলিশবাজার শহরের মিরচকের বাসিন্দা পেশায় লোকশিল্পী বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, সংকল্প যাত্রায় গান্ধী সেজে খুব ভালো লেগেছে। এদিন নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলাম।
গত ১৮ অক্টোবর মালদহের গান্ধী সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এই পদযাত্রা চলবে। প্রতিটি যাত্রায় সাংসদ, বিধায়ক থেকে নেতাকর্মীরা সকলেই পায়ে হেঁটে গান্ধীজির আদর্শ, বাণী প্রচার করবেন। শনিবার সকালে পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের আটমাইল হাটখোলায় গান্ধী সংকল্প যাত্রার জন্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা জমায়েত হন। সেখানে সাংসদ খগেন মুর্মু ছাড়াও হবিবপুর বিধানসভার বিধায়ক জোয়াল মুর্মু সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ৯টা নাগাদ যাত্রা শুরু হয়। সংকল্প যাত্রা আট মাইল স্ট্যান্ড হয়ে আদিনা স্টেশন রোড কুমড়াপচা গ্রাম ঘুরে মঙ্গলবাড়ি, সাহাপুর-মুচিয়া রোড ধরে আইহো স্ট্যান্ডে পৌঁছয়। সেখানে পথসভায় নেতারা গান্ধীজির আদর্শ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন।