কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে মহারাজকীয় উত্থান সৌরভ গাঙ্গুলির। প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার হাত ধরে যাত্রা শুরু। সিএবি’র সচিব পদে প্রশাসক সৌরভের অভিষেক ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ডালমিয়ার মৃত্যুর পর সেই পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মহারাজের নাম। তাঁর প্রায় পাঁচ বছর পর ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসছেন সৌরভ।
২০০০ সালে গড়াপেটা কাণ্ডের পর যখন সৌরভের হাতে ভারতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল, তখনও কম চ্যালেঞ্জ ছিল না তাঁর সামনে। কিন্তু সৌরভের-ছোঁয়ায় দ্রুত বদলে গিয়েছিল দেশের ক্রিকেট সমীকরণ। গড়ে উঠেছিল ‘টিম ইন্ডিয়া’। বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, জাহির খানদের মতো তরুণ, প্রতিভাবান ক্রিকেটারের উত্থান ঘটেছিল উল্কার গতিতে। উনিশ বছর পর ফের দেশের ক্রিকেট ভাবমূর্তি ফেরানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিসিসিআইয়ের শীর্ষপদে বসছেন সৌরভ। বোর্ড সভাপতি হিসাবে আগামী দশ মাসে কাজের ব্লু-প্রিন্টও তৈরি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে ভারতীয় তলানিতে ঠেকে যাওয়া ক্রিকেটের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে। রনজি ট্রফি খেলা ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য বারবার সিওএ’কে অনুরোধ করেছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি। স্বচ্ছ্বতা ও শৃঙ্খলা হবে আমাদের নতুন কমিটির মূল মন্ত্র। কখনও ভাবিনি বোর্ড সভাপতি হব। এটা অনেক বড় সম্মান।’ বোর্ডের সচিব হচ্ছেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র জয়। কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের ভাই অরুণ সিং ধুমাল।