কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বাউড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন রোডের বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ঋত্বিকের সঙ্গে প্রতিবেশী নাবালিকার পরিচয়ের সুবাদে সে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। দীর্ঘদিন ধরেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। বছর খানেক আগে মেয়েটির বাড়িতে বিষয়টি জানার পর ঋত্বিকের সঙ্গে নাবালিকার মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এরই মাঝে ওই যুবক গোপনে ওই নাবালিকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে থাকে। অভিযোগ, মাস চারেক আগে ওই নাবালিকা টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় ঋত্বিক তাকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে এবং সেখানে উপস্থিত কোনও এক ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি মোবাইলবন্দি করে। এরপর থেকেই ঋত্বিক নাবালিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং টাকা দাবি করতে থাকে। টাকা না পেলে ধর্ষণের ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। সম্প্রতি ঋত্বিক ধর্ষণের ছবি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ওই ছবির কথা নাবালিকার পরিবার জানতে পারলে তারা গত শুক্রবার ওই যুবকের নামে বাউড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। রাতেই পুলিস ঋত্বিককে গ্রেপ্তার করে।
ঋত্বিক এদিন নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে। তার বক্তব্য, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার দাবি, নাবলিকার সম্মতিতেই সব কিছু হয়েছে, এখন সে সেসব অস্বীকার করছে। অন্যদিকে, ঋত্বিকের পরিবারের দাবি, নাবালিকার পরিবারের আপত্তির পর ঋত্বিক সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে কর্মসূত্রে পুনে যায়। ওই নাবালিকা নানাভাবে ভয় দেখিয়ে তাকে বাউড়িয়ায় নিয়ে আসার পর পরিকল্পনা করেই তাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।