অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
জেলা নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ৮৫ ঊর্ধ্ব ও ৪০ শতাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটাররা নিজেদের বাড়িতেই ভোট দিতে পারবেন। সেই জন্য বুথ লেবেল অফিসাররা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সম্মতি নিয়ে এসেছেন। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে কমিশনের তরফে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় প্রত্যেক ব্লকেই হবে বাড়িতে ভোট গ্রহণের কাজ। এজন্য সংশ্লিষ্ট ভোটারদের বাড়িতে যাবেন দু’জন করে ভোট কর্মী। এছাড়া একজন মাইক্রো অবজার্ভার যাবেন। হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ভোট কর্মীদের সঙ্গে থাকবেন। সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোট গ্রহণ হয়, সেই বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভায় যথাক্রমে প্রায় সাত হাজার ও পাঁচ হাজার ভোটার রয়েছেন। চারদিন ধরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়া হবে। বিগত দিনেও অবশ্য নির্বাচন কমিশন ভোটারদের শারীরিক অবস্থার কথা বিচার করে এই ব্যবস্থা রেখেছিল। জেলায় প্রায় ৪০ হাজার এমন ভোটার রয়েছেন। তাঁদের অধিকাশই বুথে গিয়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, যাঁরা বাড়িতে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিরা বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বুথেও যাতে তাঁদের ভোট দানে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই দিকটি খেয়াল রাখা হবে।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, বাঁকুড়া লোকসভায় প্রায় সাত হাজার ভোটার নিজের বাড়িতে ভোট দেবেন। ভোটারদের সমর্থন পেতে কর্মীদের প্রচারের জন্য বলেছি। তার সঙ্গে ভোট দানে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি। বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দেবেন।
বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটাররা উপকৃত হচ্ছেন। বিভিন্ন ভাতা পাওয়ার পাশাপাশি তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। ফলে তাঁদের সমর্থন তৃণমূলের দিকেই থাকবে। কর্মীদের বলেছি ভোট গ্রহণ পর্ব ভালো করে দেখতে।
সিপিএমের নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, বাড়িতে যাঁরা ভোট দেবেন তাঁরা আমাদেরই সমর্থন করবেন। এজন্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।