অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
হঠাৎ করে পোল্ট্রি মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে, চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যাওয়া। ব্যবসায়ীরা জানালেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক দাবদাহ চলেছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছিল। সেই গরম সহ্য করতে না পেরে জেলার প্রচুর পোল্ট্রি ফার্মে হাজার হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ছোট ছোট পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা সমস্যায় পড়েছেন। বড় খামারের মালিকদেরও বাড়তি টাকা খরচ করে পোল্ট্রি ফার্ম ঠান্ডা রাখতে হয়েছিল। তখনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, একসঙ্গে এত মুরগি মারা যাওয়ায় জোগান ধাক্কা খাবে। ফলে বাজারে পোল্ট্রি মুরগির মাংসের দাম বাড়তে পারে। অত্যাধিক গরমে দাবদাহের সময় মাংসের চাহিদা কম থাকায় দামের খুব একটা হেরফের হয়নি। কয়েকদিন আগে বৃষ্টির পর তাপমাত্রার পারদ খানিকটা নেমে যাওয়ায় ফের মাংসের চাহিদা বেড়েছে। আবার ভোটের জন্য বিভিন্ন থানা এলাকায় স্কুল-কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘাঁটি গেড়েছেন। তাঁদের পাতেও পড়ছে মুরগির মাংস। ভোটের ময়দানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও কর্মীদের রেঁধে খাওয়াচ্ছে। ফলে চাহিদা একধাক্কায় কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এসব কারণেই দু’সপ্তাহের ব্যবধানে পোল্ট্রি মুরগির মাংসের দাম ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি হয়েছে।
ডোমকলের মুরগির মাংস বিক্রেতা হাসান মণ্ডল বলেন, প্রচুর মুরগি ফার্মেই মারা গিয়েছিল। ছোট ফার্মের মালিকেরা গরমে ক্ষতির আশঙ্কায় পোল্ট্রির ব্যবসাও কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলেন। এতেই বাজারে জোগানের অভাব দেখা দিয়েছে। ভোটের মরশুমে মাংসের চাহিদাও অনেকটাই বেড়েছে।
প্রায় একই অবস্থা খাসির মাংসের ক্ষেত্রেও। কয়েকসপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। ভোটের সময় ডোমকলের বিভিন্ন বাজারে ৭০০ টাকা কেজি থেকে খাসির মাংস একলাফে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।