অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের নাম সহ প্ল্যাকার্ড হাতে নকল ইভিএম নিয়ে তাঁরা প্রচারে বের হন। একাধিক দলে ভাগ হয়ে তাঁরা প্রায় প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় চষে বেড়ালেন। একমাস ধরে জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেই তাঁরা লাগাতার প্রচার করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডায় বসে উন্নয়নের কথা বলেছেন। তার সুফল ইউসুফ পাঠান পাবেন-এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল যুব নেতাকর্মীরা।
যদিও তাঁদের এই কর্মসূচিকে ভ্রান্ত প্রচার বলে কটাক্ষ করেছেন বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার। তিনি বলেন, এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ জানেন দেশের জন্য মোদিজি কী কাজ করেছেন। সবাই মোদিজির বিকশিত ভারতের পক্ষে রায় দেবেন। আমাদের প্রার্থী নির্মল সাহা জয়ী হবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ও শনিবার দিনভর ভরতপুরে মানুষের বাড়ি এবং চায়ের দোকানের আড্ডায় তৃণমূলের একাধিক নির্বাচনী ইস্যু উঠে এল। ‘জনগণের দুয়ারে তৃণমূল যুব’-এই কর্মসূচিতে কেন্দ্রের একাধিক নীতি কেন জনবিরোধী-তা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জেরে কে কী পরিষেবা পাচ্ছেন, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। ভরতপুরের বিভিন্ন গ্রামে এই কর্মসূচিতে বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ আহমেদ সহ অন্যরা অংশ নেন। বেলডাঙা দক্ষিণ তৃণমূল যুবর উদ্যোগে দেবকুন্ডু গ্রামে দুয়ারে দুয়ারে প্রচার চলে। সেখানে জেলার তৃণমূল যুবর প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বহরমপুর লোকসভা আসনের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল যুবর প্রচার চলে। আসিফ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে বিজেপি সরকার। জীবনদায়ী ওষুধের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিজেপির সরকার মানুষের কথা ভাবে না। ওদের প্রতিনিধি জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। তাই নকল ইভিএম নিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছি, যাতে আমাদের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে তাঁরা ভোটদান করেন।