অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
প্রচারের মাঝেই প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে কিছুটা হওয়ায় বেকায়দায় জেলা বিজেপি। তার উপরে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভুগছে তারা। একে অপরের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে অনেক পুরনো নেতা অনেকদিন ধরেই বিক্ষুব্ধ। বর্তমানে তাঁরা কোণঠাসা। প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লেগেই রয়েছে। শীর্ষনেতারা বারবার বললেও জেলা বিজেপির অন্দরে ছন্নছাড়া ভাব।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রামপুরহাটের চাকপাড়া গ্রামে নির্বাচনী জনসভায় বলেন, বীরভূমে ভয় দেখানোর জন্য বোমাবাজি হয়। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে তিনি বলেন, এতে ভয় পাবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে নির্ভয়ে ভোট করবেন। তৃণমূলের গুণ্ডারা আপনার চুল স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা যাই বলুক, ভোটের দিন সমস্ত কর্মীকে মাঠে নামানোই চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। এমনিতেই বীরভূম লোকসভার ১৯৪১টি বুথের মধ্যে তিনশোর বেশি বুথে কোনও কমিটিই নেই তাদের। সেখানে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি স্লিপও পৌঁছনো নিয়ে চিন্তায় তারা। কোথাও আবার বুথ কমিটি থাকলেও সদস্য সংখ্যা নগন্য।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, যে বুথে কেউ নেই, বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার বুথগুলি ফাঁকা যাবে। বাকি সকল কার্যকর্তাকে ভোটের দিন নামতে বলা হয়েছে। লড়াইয়ের সময় যদি কেউ বসে থাকে জানতে হবে সে দলের কেউ নয়। তিনি বলেন, মুরারই, নলহাটি ও হাসন বিধানসভায় যেখানে আমাদের কর্মী নেই বা সংখ্যায় কম সেখানে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আমরা সেই তালিকা নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি যেখানে যেখানে আমাদের কর্মী আছে, সেখানে রাজনৈতিকভাবে রোখার চেষ্টা করা হবে।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আসলে বহু বুথে বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোক নেই। তাই আমাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা বসে গিয়েছেন। বহু বুথে কর্মী নামবে না। এই অবস্থায় তারা তলেতলে তাঁরা বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। এমনকী, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এব্যাপারে তীব্র আপত্তি আছে। কেন্দ্রের নজরদারিতে ভোট হোক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অযথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা চলবে না।
আজ শনিবার জেলা তৃণমূলের একটি টিম সাধারণ ও পুলিস অবর্জারভারের সঙ্গে দেখা করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আবেদন জানাবেন। দলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সেই বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি ভোটের আগের দিন গ্রামগুলিতে রাত পাহারার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।