উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
শীলাবতী নদীর ধারে এই পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। গড়বেতা-আমলাশুলি রোড থেকে সোজা মোরাম রাস্তা ধরে প্রায় এক-দেড় কিলোমিটার গেলেই এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায়। যদিও এখন আর মোরাম নেই। পর্যটন কেন্দ্রের জন্যই সেখানে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। রাস্তার দু’ধারে সারি সারি কাজু বাদামের গাছ রয়েছে। গণগণিতে এখন পরিকাঠামো বলতে সেরকম কিছু নেই। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে একবার ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই টাকায় গণগণিতে আংশিক পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল। চারিদিকে পাঁচিল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার ঘর এবং শৌচালয় রয়েছে। পর্যটকদের থাকার কোনও পরিকাঠামো সেখানে ছিল না। ফলে, এখানে পর্যটকরা এলেও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তাঁরা বাধ্য হয়ে ফিরে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী একবার জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে মেদিনীপুর এসেছিলেন। সার্কিট হাউসে থাকাকালীন গণগণি পর্যটন কেন্দ্রের যাবতীয় তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে চেয়ে পাঠান তিনি। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে সেখানে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মূলত গণগণিতে আরও বেশি পর্যটক টানতে এই পর্যটন কেন্দ্রকে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত পর্যটনস্থলে চারটি কটেজ তৈরি করার কথা ছিল। সেখানে আটটি পরিবার থাকার পরিকাঠামো তৈরি করা হতো। গণগণির মাটির বৈচিত্র্য দেখার জন্য দু’টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। পর্যটকদের খেলার জন্য লন টেনিসের মাঠ এবং সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনার জন্য কটেজের পাশেই একটি প্রশাসনিক ভবন তৈরি করার কথা ছিল। এছাড়া ফাঁকা জায়গায় ফুলের বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। আর শীলবতী নদীর দিকে যে পাঁচিল রয়েছে, তা ভেঙে দিয়ে স্টিলের ফেন্সিং দেওয়া হতো। যাতে মৃত্তিকার সুন্দর বৈচিত্র্য ভালোভাবে দেখা যায়।
গড়বেতা-১ ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ বলেন, গণগণি হচ্ছে বাংলার গ্রান্ড ক্যানিয়ন। এত সুন্দর মৃত্তিকা ক্ষয়ের বৈচিত্র্য রয়েছে এখানে, যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর সেই টানেই এখানে পর্যটকরা ভিড় জমান। শীতকালে এখানে বহু পিকনিক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই এই পর্যটনকেন্দ্রকে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। করোনা আবহে অর্থ অনুমোদন না হওয়ায় এখন প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে।