উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া বেশিরভাগ সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন লকডাউনে কাজ হারিয়েছিল। লোনের কিস্তির টাকা জোগাড়ের উদ্দেশ্যে ডাকাতি কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউটাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল শুকু। আগে গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে টুলু পাম্প চুরি করে সে বিক্রি করে দিত। কিন্তু, পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ পায়। ওই গ্রামেরই শেখ আজিজুল তার সঙ্গে কারখানায় কাজ করত। চাকরি করার সুবাদে লোনও নেয় তারা। প্রতি মাসে গুনতে হয় ইএমআই। এমন অবস্থায় আচমকা লকডাউন তাদের সঙ্কটে ফেলে দেয়। কাজ হারালেও লোনের কিস্তি দিতেই হবে। কিন্তু কোথা আসবে সেই টাকা। তাই ফের অপরাধ জগতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। তখনই টাকা লুটের ফন্দি আঁটে দু’জনে। কিন্তু সহজ উপায়ে ‘অপারেশন’ নিয়ে চিন্তায় পড়ে তারা। তখনই মুশকিল আসান করে দেয় প্রতিবেশী শেখ ইমরান। দুর্গাপুরের নানা অভিজাত এলাকায় আগাছা পরিষ্কারের কাজ করে সে। তাই প্রতিটি বাড়ির ‘ডেটা ব্যাঙ্ক’ রয়েছে তার নখদর্পণে। বাড়তি টাকার লোভে এই কাজে যোগ দেয় সে। একে একে টার্গেট লিস্ট তৈরি হয়।
২৭ জুলাই দুপুরে সিটিসেন্টারের অম্বুজায় নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ডিএসপির অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক শরৎচন্দ্র কর্মকার। সেই সময় বাড়িতে কোনও কাজ আছে কি না খোঁজ নিতে যায় ইমরান। স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ হয়নি বৃদ্ধ দম্পতির। দরজা খুলে জানান, কোনও কাজ নেই। তারপরেই অপারেশন শুরু। পিছনেই দাঁড়িয়ে থাকা বাকি দু’জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর টাকা সোনা নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় তারা।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। এলাকার সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিস। পাশাপাশি ইমরানের ভূমিকা নিয়েও অনেকে পুলিসের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পুলিস তার খোঁজ পেতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে। দ্বিতীয় কোনও বাড়িতে অপারেশন চালানোর আগেই বুধবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।