উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
অনেকের মতে হুমায়ুন সাহেব বিজেপিতে আসার পর ওই এলাকায় সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য না পাওয়া গেলেও ভোটের হার অনেকটাই বেড়েছিল। কিন্তু তিনি দল ছেড়ে দেওয়ায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, তিনি কয়েক মাস আগে থেকেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও তিনি যোগ দেননি। সেসময় থেকেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিলেন। হুমায়ুন সাহেবকে দলে নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলেও টানাপোড়েন চলছিল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি অনেক আগেই শাসকদলে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌমিক হোসেন কো-অর্ডিনেটর হওয়ার পরেই তাঁকে দলে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। সেইমতো এদিন বিকেলে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, হুমায়ুন সাহেব বারবার রাজনৈতিক জার্সি বদল করেছেন। প্রথমে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শাসকদলে আসার পর তিনি প্রতিমন্ত্রীও হন। পরে আবার তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। আবার বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু সেখানেও তিনি বেশিদিন ঘর করতে না পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। তা নিয়ে অনেকেই তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও হুমায়ুন সাহেব বলেন, যাঁরা বলছেন আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তাঁদেরকে আগামী দিনে কাজের মাধ্যমে সবকিছু বুঝিয়ে দেব। এই জেলায় আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। তৃণমূলকে এক নম্বর শক্তিতে পরিণত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এই জেলা থেকেই আমরা সবচেয়ে বেশি আসন তুলে দেব।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের বলেন, হুমায়ুন সাহেবের সঙ্গে তাঁর কয়েক হাজার অনুগামী দলে যোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। আগামী দিনে সংগঠন আরও শক্তিশালী করাই আমাদের উদ্দেশ্য। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র বলেন, উনি আমাদের দলের নীতি-আদর্শের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। সেকারণে দল ছেড়েছেন। উনি আসায় সংগঠনের তেমন লাভ হয়নি, আবার যাওয়াতেও তেমন ক্ষতি হবে না।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্ত কিছু এলাকা ছাড়া বিজেপি সেই অর্থে মাথা তুলতে পারেনি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সংগঠন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তারপর একের পর এক নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করায় সংগঠন আরও ধাক্কা খাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই বহরমপুর শহরের একটি মণ্ডলের সভাপতি বিজেপি ছেড়েছেন। তবে এদিন তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ উঠেছে। এক হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক টেক্সটাইল মোড়ে জমায়েত হন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।