উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
রানিগঞ্জ ব্লকে এমনই বেনিয়মের বিস্তর অভিযোগ নিয়ে সরগরম পশ্চিম বর্ধমান। তানিয়ে প্রশাসন যেমন অস্বস্তিতে, তেমনই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলও তীব্র। অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা গিয়েছে মন্ত্রী থেকে জেলাশাসকের হাতে। রানিগঞ্জ ব্লকে যে সব বাসিন্দা উম-পুনে বাড়ির ক্ষতির জন্য ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই তার যোগ্য নন বলেই অভিযোগ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হল, উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে উপভোক্তাদের ফোন নম্বরের জায়গায় ব্লক অফিসের কর্মীদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে প্রথমে জেলাশাসককে চিঠি দেন পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। এরপর দলীয় স্তরেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিক্ষুব্ধরা ইতিমধ্যেই দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী মলয় ঘটককে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মলয়বাবু বলেন, উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। দল কোনও বেনিয়মকেই প্রশ্রয় দেবে না।
করোনা আবহেও রাজ্যজুড়ে উম-পুনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় চলছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সেভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি। তাই এখানে যে অনিময়ের অভিযোগ উঠতে পারে, তা অনেকেরই ধারণায় ছিল না। কিন্তু সেই অভিযোগ উঠেছে রানিগঞ্জ ব্লকে। এখানকার ছ’টি পঞ্চায়েতের ১২৪ জনের নাম পাঠানো হয়। ১০৮ জন টাকাও পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা সঠিক মানুষ পাননি বলে অভিযোগ। ব্লক থেকে উম-পুনের ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই তালিকা ধরে কয়েকজনকে ফোন করতেই একজনই ফোন ধরছেন। তিনি নিজেকে ব্লক অফিসের আধিকারিক বলে দাবি করে জানান, কয়েকঘণ্টার মধ্যে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল। তাই জনপ্রতিনিধিরা যে নাম এবং ছবি তুলে দিয়েছে সেই অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত হয়। অনেকের ফোন নম্বর না থাকায় ব্লকের অফিসারদের নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেখানে উপভোক্তার বাড়ির ছবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেল, সেখানে কেন ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হল না? এনিয়ে তৃণমূলের ভিতরেও দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক কর্মাধ্যক্ষ অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের দিকে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ চিন্তা রুইদাস বলেন, ক্ষমতাসীন নেতারা নিজেদের অনুগামীদের উম-পুনের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। অনেক যোগ্য মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া বলেন, কোনও বেনিয়ম হয়নি। দলের বদনাম করার জন্য কিছু লোক এবং জনপ্রতিনিধিরা এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন। বিডিও অভীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমি আগে খোঁজ নিয়ে দেখি। তারপরই কিছু বলতে পারব।