ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত ২২টি প্যাসেঞ্জার ৩১মে পর্যন্ত বাতিল করার প্রস্তাব নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ওই ট্রেনগুলির মধ্যে আরণ্যক এক্সপ্রেস, লালমাটি এক্সপ্রেস সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে। আদ্রা ডিভিশনে সুষ্ঠুভাবে মালগাড়ি চালানোর লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই প্রস্তাবের বিষয়টি চাউর হতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরুলিয়া জেলাজুড়ে। তৃণমূল, সিপিএম সহ একাধিক রাজনৈতিক দল পথে নেমে বিরোধিতার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় ওঠে। বিজেপির এমপি এবং নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। তারপরই বৃহস্পতিবার আদ্রার ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল।
এবিষয়ে বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, যে আধিকারিক ওই প্রস্তাবের চিঠি দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই অন্য কোনও দলের ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। সামনেই রেলের ইউনিয়নের নির্বাচন রয়েছে। ইউনিয়নের কথা মতো উনি চক্রান্ত করে ওই চিঠি ফাঁস করিয়েছেন। তাছাড়া রেলের যে আধিকারিক ওই চিঠি দিয়েছেন, তা তো পর্যায়ক্রমে ডিআরএম এবং তারপর জিএম-এর কাছে যাবে। যে আধিকারিক প্রস্তাবের চিঠি দিয়েছেন তিনি তো আর ‘রেলমন্ত্রক’ নন।
শুক্রবার এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুরুলিয়ার এমপি জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। তিনি বলেন, এরকম কোনও প্রস্তাব পাঠায়নি আদ্রা ডিভিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল খবর প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া যদি এধরনের কোনও প্রস্তাব কার্যকর হয় তাহলে আমরাও পথে নেমে প্রতিবাদ করব। প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করার খবর ঠিক নয়। রেলকে এবিষয়ে চিঠি দেব। রেলের ভিতরের চিঠি কী করে বা কারা ফাঁস করল, তা নিয়ে সঠিক তদন্ত করতে বলব। তৃণমূল পুরভোটের আগে এবিষয়ে ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছে।
ট্রেন বাতিলের প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় শুক্রবার আদ্রার ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলেন বাঁকুড়ার সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, ট্রেন বাতিলের বিষয়ে রেল এরকম কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তৃণমূল হাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।
এবিষয়ে শুক্রবার আদ্রার ডিআরএম নবীন কুমার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ‘আদ্রা ডিভিশনে ২২ জোড়া ট্রেন বাতিলের বিষয়ে যে সংবাদ গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি নয়। কারণ এই জাতীয় কোনও প্রস্তাব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়নি। নির্দিষ্ট কারণে মেল অথবা এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের সংযোজন, বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত যদি ভবিষ্যতে নেওয়া হয় তাহলে তা আগাম জানানো হবে।’ এবিষয়ে ডিআরএম ফোনে বলেন, কেউ কোনও প্রস্তাব দিলেই ট্রেন বাতিল হয় না। ওই প্রস্তাব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদন হলে তবেই ট্রেন বাতিল হয়।