ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। ওই গৃহবধূ তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকাতেই থাকে। সে গ্যারেজে কাজ করে। ওই যুবক প্রায়ই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। মৃতার নাবালক ছেলে বলে, রাকেশ প্রায় দিন আমাদের বাড়িতে আসত। ও মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করত। মা ওকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে ও গালিগালাজ করত। মেরে ফেলারও হুমকি দিত। মা খুব ভয়ে ছিল।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক গৃহবধূকে বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রতিবারই গৃহবধূ তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেই কারণে এদিন পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়।
ধৃত যুবক পুলিসকে জানিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই সে ওই গৃহবধূর বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করছিল। হাঁসুয়াও আগে থেকে এনে রেখেছিল। গৃহবধূর দুই ছেলে বাইরে খেলতে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে সে ভিতরে ঢোকে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগে সে গৃহবধূর মাথায় এবং বুকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। গৃহবধূর আর্তনাদ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কোপ মেরে অভিযুক্ত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। দিনেরবেলায় এই ঘটনা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
যদিও পুলিস আধিকারিকদের দাবি, এই জেলায় এধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কয়েকমাস আগে বেলডাঙার এক যুবক এক গৃহবধূর বাড়িতে হামলা করেছিল। সে শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জিয়াগঞ্জেও এক যুবতীকে বাড়িতে ঢুকে এক যুবক কোপ মেরেছিল। তবে, প্রতিটি ঘটনাতেই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছিল।