অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তরের দাবি, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই এখনও ভালো করে শীত আসেনি। সকালে ও রাতের দিকে হাল্কা ঠান্ডার আমেজ বোঝা যাচ্ছে। তবে, দিন তিনেক ধরে ঠান্ডা বাড়বে বলে আশা শুনিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তারপর নাকি আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে। অনেকে বলছেন, বর্ষাও এবার দেরিতে এসেছে। প্রথমদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিই হয়নি। পরে অবশ্য বর্ষার খরা দশা কেটেছে। বর্ষার মতো এবার হয়তো জাঁকিয়ে শীত পড়তেও দেরি হবে। তাই ডিসেম্বর মাসেও শীতবস্ত্র ছাড়াই মানুষজন দিব্যি রাস্তায় বেরচ্ছেন।
বর্ধমান শহরে কার্জনগেট থেকে কোর্টে ঢোকার মুখে রাস্তার ধারেই জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের শীতবস্ত্রের দোকান। দোকানজুড়ে থরে থরে শীতবস্ত্র সাজানো রয়েছে। অথচ তিনি দোকানের বাইরে একটি চেয়ার নিয়ে বসে রয়েছেন। কোনও ক্রেতা নেই। জয়ন্তবাবু বলেন, কালীপুজোর পরই আমরা শীতের পোশাক তুলেছি। নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রতি বছর অর্ধেক বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু, গোটা নভেম্বর মাসে একটিও শীতবস্ত্র বিক্রি করতে পারিনি। ঠান্ডাই পড়েনি। মানুষ কিনবে কেন? তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসেও ঠান্ডা নেই। ভাবতেও অবাক লাগছে। প্রচুর লেদারের জ্যাকেট, গ্লাভস, দামি সোয়েটার তুলেছি। একটিও বিক্রি হয়নি। ঠান্ডা না পড়লে কেউ তো জ্যাকেটই কিনবে না। গত দু’দিনে গোটা তিনেক ছোটদের সোয়েটার বিক্রি করলাম। বড়রা কেউ কিছু কেনেননি। খুব লোকসানে পড়েছি। এত জিনিস যদি বিক্রি না হয় তাহলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। জানি না কবে, ভালো করে ঠান্ডা পড়বে। এখন আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি।
বর্ধমান শহরের বিসি রোডে তাপস শীল ও তরুণ শীলের বড় শীতবস্ত্রের দোকান রয়েছে। তাঁরা দু’জন যমজ ভাই। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদিগিরি’তে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁদের দোকান আরও ‘জনপ্রিয়’ হয়েছে। কিন্তু, জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় এই দোকানেও শীতবস্ত্র কেনার ক্রেতা নেই। তাপস ও তরুণবাবু বলেন, মূলত ঠান্ডা না পড়ার জন্যই শীতবস্ত্রের ক্রেতা আসছেন না। হাতে গোনা কয়েকজন আসছেন। এতে ব্যবসার খুবই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, সকলে অনেক টাকার মালপত্র কিনে রেখেছেন। সেটা যদি বিক্রি না হয়, তাহলে সবাইকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। একে ব্যবসার খারাপ হাল। তার উপর জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় বিক্রি নেই। ভালো করে শীত না পড়লে এই মন্দা কাটবে না।