দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
কৃষকরা বলেন, শ্রমিকের অভাবে মাঠের ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে। যন্ত্রচালিত হার্ভেস্টিং মেশিনও সেই অর্থে ব্যবহার হয় না। আমরা সবদিক দিয়েই বিপাকে পড়ে গিয়েছি। গাজোলের এক কৃষক সুরেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, আলাল মৌজায় তিন বিঘা বোরো ধান চাষ করেছি। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আগে যেসব শ্রমিক ধান কাটার কাজ করতেন , এখন সবাই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। ফসল কীভাবে ঘরে তুলব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। পুরাতন মালদহ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ৮০ শতাংশ ধান মাঠ থেকে উঠে গিয়েছে। তবে কিছু কিছু জমিতে জল থাকায় সমস্যা রয়েছে।
মালদহ জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, শ্রমিক সব জায়গাতেই মিলছে না একথা ঠিক। তবে শ্রমিকের সমস্যা কাটিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য মেশিনের সাহায্যে ফসল ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের আগে থেকেই উৎসাহ আমরা দিয়েছি। এনিয়ে কৃষকদেরই সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মালদহে ব্লকভিত্তিক গড়ে ৪০০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। ফলন হয় হেক্টর প্রতি ৭০-৭৫ কুইন্টাল। সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলা, পুরাতন মালদহ এসব ব্লকে। তবে অল্পবিস্তর রতুয়া, চাঁচল, কালিয়াচক, মানিকচক, ইংলিশবাজার ব্লকগুলিতেও ধান চাষ হয়। ওই সব এলাকাতে কৃষকরা বোরো ধান চাষ করলেও ফসল তোলার সময় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। অনেকে শ্রমিকের জন্য হাপিত্যেশ করে ঘুরছেন। বোরো ধান পেকে জমিতে ঢলে পড়েছে। অল্প দিনের মধ্যে সেই ধান ঘরে তুলতে না পারলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এনিয়ে অনেকে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।