দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
রবিবার শিলিগুড়িতে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় ১৩ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। প্রধাননগর ও মাটিগাড়া থানার পাঁচটি কেন্দ্র থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অফিসাররা বলেন, কনস্টেবল পদের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে মোটা টাকার রফা করেছিল ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের চক্র। এ জন্য অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়ার পাশাপাশি প্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ নথিও নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
কেন? তদন্তকারীরা বলেন, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে আধারকার্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নথিপত্রও ধৃতরা হাতিয়ে ছিল বলে মনে হচ্ছে। কারণ, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরিপ্রার্থীরা ফস্কে যেতে পারে। শিকার যাতে ফস্কে না যায়, সেজন্য চাকরিপ্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চক্রটি কব্জা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
শিলিগুড়ির এসিপি (পশ্চিম) মণীশ যাদব বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। ধৃতরা কী শর্তে এখানে আসে, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ধৃতদের আলাপ কীভাবে, তাদের পিছনে কারা রয়েছে, এসব প্রশ্নের উত্তর তদন্তে খোঁজা হচ্ছে। পুলিস অফিসাররা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রবেশ করার কথা। নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যে প্রধাননগর ও মাটিগাড়ার পাঁচটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশ করছিলেন না। পরীক্ষা শুরুর ঠিক ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কেন্দ্রগুলির গেটে হুমড়ি খেয়ে পড়েন প্রার্থীরা। ভোটের সময় বুথ যেভাবে জ্যাম করা হয়, ঠিক সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রগুলির গেটে। বেলা ১২টা নাগাদ পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর হাজিরা খাতায় সই করার পরই ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়ে যায়। আসল চাকরি প্রার্থীদের স্বাক্ষরের সঙ্গে ভুয়ো প্রার্থীদের স্বাক্ষর মিলছিল না। তখনই অভিযুক্তদের ধরা হয়। প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বিভিন্ন জেলায় ধৃতদের বাড়ি। ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।