শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
এদিন মৃত রোগীদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ি শহরের মহাবীরস্থানের বাসিন্দা। শিলিগুড়িতে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২৮ মে ওই বিজেপি নেতা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। ওই দিনই তাঁরা সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২৯ মে সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ মেলে। ৩০ মে তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এরবাইরে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (রিকু) আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার এবং আরএকজন শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা। দু’জনেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদার বলেন, মৃতদের মধ্যে ডালখোলার বাসিন্দার করোনা পজিটিভ হয়েছে। অন্যজনের টেস্ট রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি শহরে এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জন।
শুধু তাই নয়, শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এদিন শিলিগুড়িতে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। যারমধ্যে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ছ’জন। এরবাইরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন, ১০ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন, ৬, ১৪, ২৩, ২৬, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে রয়েছেন। অর্থাৎ শিলিগুড়ি শহরে এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। বাকি ১০ জনের বাড়ি শহর সংলগ্ন রাজগঞ্জ, সালুগাড়া ও মাটিগাড়া এলাকায়। উল্লেখ্য, এ নিয়ে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ জন।
এদিন সাংবাদিকদের কাছে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম অবশ্য বলেন, এখন করোনা আক্রান্ত কিছু রোগী মিলছে ঠিকই। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। ভাইরাস সংক্রামণ রুখতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানকার করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেশ ভালো। এদিন এখানকার দু’টি কোভিড হাসপাতাল এবং সেফ হাউজ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৬ জন।
জেলা প্রশাসন যাই বলুক না কেন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, করোনায় মৃত দলের প্রবীণ নেতার দেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নার্সিংহোম থেকে বের করতে দিনভর সময় লেগেছে। কখনও অ্যাম্বুলেন্স আবার কখনও লোকের অভাবে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আক্রান্তদের চিকিৎসাতেও সেভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে এদিন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রচার অভিযানে জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার বলেন, সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ৪৮ বেডের একটি ওয়ার্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য বলেন, করোনা নিয়ে শহর ও গ্রামবাসীদের সচেতন করতে এদিন দু’টি ট্যাবল বের করা হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কন্টেইনমেন্ট জোন সিল করার পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।