শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মূলচাঁদ বুচ্চা বলেন, এদিন মন্ত্রী, বিধায়ক, চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ব্যবসা চালু করা হল। আমরা প্রথমদিনে ঝুঁকি নিতে চাইছি না। প্রতিদিন যে লরিগুলি যাবে সেগুলিকে সেদিনেই ফিরে আসতে হবে। এ কারণে এদিন ১০টি লরি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও কিছু লরি এসেছে। ওসব লরির পণ্যসামগ্রী নামিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা চালু হওয়ায় আমরা খুশি।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করা হয়। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ১০ জুন রাজ্যের সমস্ত স্থলবন্দরের সঙ্গে চ্যাংরাবান্ধা দিয়েও ব্যবসা চালু হয়। কিন্তু ওই দিন কয়েক ঘণ্টা ব্যবসা চলার পরই প্রশাসন সীমান্ত সিল করে দেয়। তারপর প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ব্যবসায়ীরা গেলেও বাণিজ্যের জন্য ওই স্থলবন্দর খুলে দেওয়া হয়নি। চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন হয় না। প্রতিবেশী ভুটান দেশ থেকেও এই বন্দর দিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা চলে। বোল্ডার সহ অন্যান্য সামগ্রী বাংলাদেশে পাঠানো হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০টি লরি দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী সহ লরির মালিক, চালক ও লোডিং আনলোডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। অন্যান্য স্থলবন্দর খুলে গেলেও চ্যাংরাবান্ধার ব্যবসা বন্ধের খবর জানার পরই মুখ্যমন্ত্রী বুধবার গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সীমান্ত বাণিজ্য চালুর নির্দেশ দেন। এরপরই এদিন জেলার মন্ত্রীর হাত দিয়ে চালু করা হয় দু’দেশের মধ্যে পণ্যবাহী লরি চলাচল। সীমান্ত দিয়ে ফের বাণিজ্য চালু হওয়ায় শ্রমিকরাও খুশি।